মোঃ রাকিবুল হাসান সুমন, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মণিরামপুর উপজেলার খালিয়া এইচ এম এম মহিলা দাখিল মাদ্রাসার আধাপাকা বিল্ডিং ও মাদ্রাসার টিনসেটের ছাউনি থাকায় ।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রবল বাতাসে মাদ্রাসার চালের টিন লন্ডভন্ড হয়ে উড়ে যাওয়াসহ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে পিলার ও দেওয়ালের কিছু অংশ । এতে মাদ্রাসার ওই ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অসম্ভব বলে জানান মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ৯ নং ঝাঁপা ইউনিয়নে খালিয়া গ্রামে মাদ্রাসাটি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে (৩০০) এর বেশি অধিক শিক্ষার্থী নিয়ে সুনামের সাথে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা দিয়ে আসছেন ১৪ জন শিক্ষক ও কর্মচারী।
উলেখ্য গত ২৩ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন আম্ফানের তান্ডবে মাদ্রাসার টিনসেটের ভবনে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এতে শ্রেণি কক্ষসহ মাদ্রাসার ভবন ও টিনের চাল লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এমত অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি খোলার পর কোমলমতী ছাত্রীদের পাঠদানে করানো অসম্ভব বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার সুপার আঃ রশিদ ।
স্থানীয়রা প্রতিনিধিকে জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে মাদ্রাসাটির অবস্থা এখন খুব খারাপ ৷ যে কয়টি শ্রেণি কক্ষ ছিল সব কয়টি ছাত্রীদের পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝড়ে কিছু টিন উড়ে যায় এবং কিছু মাটিতে পড়ে আছে যা পুনরায় ব্যাবহারের অনুপোযোগী।
বিধ্বস্থ হওয়া টিনসেটের ভবনটি পুনরায় মেরামত করতে ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন।দ্রুত মেরামত না করতে পারলে মাদ্রাসা খুললে ছাত্রীদের খোলা আকাশের নীচে পাঠদান করতে হবে। ভবনটি সংস্করণ করতে সকরকারি সাহায্য পেতে মাদ্রাসার সুপার আঃ রশিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন।
এলাকার কয়েকজন অভিভাবক জানান, ঝড়ে মাদ্রাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সংস্কার কাজের জন্য মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন। এজন্য সরকারিভাবে দ্রুত অর্থ বরাদ্দ পেলে ভবনটি নতুন করে সংস্কর করলে শিক্ষার্থীদের পাটদানে কোন প্রকার সমস্যা হবে না ৷