সিলেট নিউজ ডেস্কঃ- সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় গাঁজা উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ী সংর্ঘষের ঘটনায় পুলিশসহ ৬জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামে। এ ঘটনায় রাজাই গ্রামের জম্মত আলীর ছেলে আলী আমজাদ (২২) ও একই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে এখলাস মিয়া (৫৫) কে পুলিশ গ্রেফতার করে। আহতরা হলেন, বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই রাজু কুমার বিশ্বাস, নায়েক মন্টু দে, কনস্টেবল মো. আজাদ, মোটরসাইকেল ড্রাইভার সেলিম। গুরতর আহত মোটরসাইকেল ড্রাইভার সেলিমকে সোমবার রাতেই তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মো. মাহমুদুল হাসান ও এএসআই রাজু কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার বড়দল(উ.) ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম রাজাই গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী জুলহাস মিয়ার বাড়িতে গাঁজা বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে মাদক ব্যবসায়ী জুলহাস ও তার আত্মীয় স্বজনসহ ২০/২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরে তাহিরপুর থানা পুলিশ হামলার খবর পেয়ে ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, এসআই দীপঙ্কর বিশ্বাস, মনতোষ পাল, এএসআই বেলাল হোসেন, মীর হোসেনসহ পুলিশের আরেকটি দল উপস্থিত হয়ে অভিযান চালিয়ে জুলহাসের বসত ঘরে থাকা সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতরে রাখা ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।এবং রাতভর জুলহাসকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়। এসময় জুলহাস ও তার দুই সহযোগি পালিয়ে যায়। পরে সোমবার ভোররাতে উপজেলার চাঁনপুর ও বৃন্দারবন গ্রাম থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবং এসআই মাহমুদুল হাসান ও এএসআই রাজু কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।