এম. এম আতিকুর রহমান ঃ
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পাশে দাড়ানো ব্যারিষ্টার মাওঃ সালেহ আহমদ হামিদী। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল বরুণা হামিদনগরের কৃতিমান ব্যক্তিত্ব। ৯০ দশকের সিলেটের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা।
তিনি লন্ডনে অল্প বয়সেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন নিজস্ব প্রয়াস ও কর্ম তৎপরতায়। বৃটেনে বিভিন্ন টেলিভিশনে ইসলামী বিষয়াবলীর উপর লেকচারের পাশাপাশি আইন পেশায় সময়ও দেন নিয়মিত।
কিন্তু এসব কাজের বাহিরে তাঁর আলাদা পরিচয় যা ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে তা হলো, আর্ত মানবতার সেবা। তাঁরই তৈরি গরিব এন্ড ইয়াতিম ট্রাস্ট ফান্ড। তিনি ইউকেতে বিভিন্ন ফান্ড রেইজিং প্রোগ্রাম করে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমেই তা বাংলাদেশের গরিব জনগণের জীবন মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
গরিব এন্ড ইয়াতিম ট্রাস্ট ফান্ডের উল্লেখযোগ্য প্রজেক্ট হচ্ছে গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া। সারা বছরব্যাপী ফুড বিতরণ প্যাকেজ। তার পাশাপাশি বিধবা মহিলাদের জন্য সেলাই ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, অন্ধ ও প্রতিবন্ধিদের নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম, হুইল চেয়ার ও শীতবস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি প্রজেক্ট চালু থাকে সিলেট সহ দেশব্যাপী।
তাঁর সাথে রয়েছেন একঝাঁক প্রতিভাবান আলেম। ইউকে র আলোচিত খতিব মাওঃ তাজুল ইসলাম গরিব এন্ড ইয়াতিম ট্রাস্টের অন্যতম ব্যাক্তিত্ব। দেশে কাজ আঞ্জাম দেন মাওলানা সাকালাইন শাফি।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে একটি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছেন যার নাম নাজাত ইসলামী মারকাজ৷ যেখানেই দুর্যোগ সেখানেই হাজির হয়ে যায় গরিব এন্ড ইয়াতিম ট্রাস্ট ফান্ডের গাড়ি ত্রাণ নিয়ে।
বৃটেনে এখন খুব কঠিন সময় পার হচ্ছে। বাঙালি কমিউনিটির অনেক বড় মাপের ব্যাক্তিত্বও করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন৷
এই কঠিন সময়েও বাংলাদেশকে ভুলেননি প্রবাসী ভাইয়েরা। মাওলানা হামিদী তাঁদের অন্যতম। বৃটেনের মানুষের কাছ থেকে ডলার এনে দেশের আর্ত মানবতার কল্যাণে অনবদ্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। জনকল্যাণে তাঁর আগামীর পথচলা আরও ব্যাপকভাবে সাফল্যের হোক কায়মনোবাক্যে এ প্রার্থনা মাবুদের তরে।