শুক্রবার( ১৭ জুলাই) মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ৭ নং ফুলতলা ইউনিয়নের বুটলি গ্রামের পরিতোষ পাল পিতাঃ মৃত লোকেশ পাল গতরাত ১২.৪৫ মিনিটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বড়লেখা উপজেলা শহরের গাজীটেকা নামক স্থানের সরৎ ম্যানশনের ৩য় তলায় পরলোকগমন করেন।
ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজার সভাপতি মাওঃ এহসানুল হক জাকারিয়া জানান, পরলোকগমনকারীর ছেলে পার্থ পাল মুঠোফোনে জানান, উনার বাবা করোনা পজেটিভ অবস্থায় পরলোকগমন করেছেন কিন্তু সৎকারের জন্য কোনো মানুষ খোজে পাচ্ছেন না, আমরা উনার বাবার সৎকার করবো কি না? তিনি বলেন যদি প্রশাসন অনুমতি দেন তাহলে সৎকার করে দিবো। তিনি তখন বড়লেখা উপজেলার ওসি এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানান তারা অনুমতি দিয়েছেন, তবে জুড়ী উপজেলার কথা বলতে হবে, মৃত ব্যক্তির ছেলে জুড়ী স্বাস্থ কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের সাথে আলাপ করেন। ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজারের সভাপতিও উভয় উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে, তাদের অনুমতিতে সৎকার কার্জ সম্পন্ন করেন। ইকরামুল মুসলিমীন সভাপতি আরো জানান, আমরা এম্বুলেন্স দিয়ে বড়লেখা বাসা থেকে লাশ নিয়ে জুড়ীতে আসি, সেখানে আমরা লাশকে স্নান করাই। মৃত ব্যক্তির ছেলে, মূখাগ্নী দেন। ভোররাত থেকে সকাল ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত সৎকার চলে।
ইতোপূর্বে ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ দত্তের সৎকার করে এবং শমসেরনগর খ্রীস্টান চার্চের শ্যামুয়েল রোকন মল্লিককে ফ্রী অক্সিজেনসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে।
এটা ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজারের ২য় হিন্দু সৎকার এবং ইকরামুল মুসলিমীনে মৌলভীবাজারের ১৪ তম করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দাফন-কাফন। এর পূর্বে মৌলভীবাজার সদরে ৩টি, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৬টি, জুড়ী উপজেলায় আজসহ ৩ টি এবং কুলাউড়া উপজেলায় ১ টি এবং আজ বড়লেখা উপজেলায় ১ টি সহ ১৪তম দাফন-কাফন সম্পন্ন করে।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ সহ সুশীল সমাজ ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডেশন এর এমন মানবসেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।