শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি কেড়ে নিচ্ছে লাখো মানুষের সপ্ন, হতাশ হয়ে পড়ছেন কৃষক, খামারি সহ সাধারণ মানুষ।।

Coder Boss / ৪৯২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০

 

মোঃউজ্জল মিয়াঃ-

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় বন্যার পানির দুরন্ত গতির কাছে হেরে যাচ্ছে লাখো মানুষের স্বপ্ন।

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভাটি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হলে ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা থেকে বানিয়াচং উপজেলার অবস্থান একটু উজানে।
বানিয়াচং উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেলে ও ১-৪ নং ইউনিয়ন বিগত কয়েক বছরের ন্যায় বন্যার পানিতে তলিয়ে না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল।
তবে এই বছরের বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বানিয়াচংয়ের ১৫ টি ইউনিয়ন ই। যার অন্যতম কারন উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি এবং অধিক বৃষ্টিপাত।

ইতিমধ্যেই বানিয়াচং উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যেমুরাদপুর,মন্দরী,সুজাতপুর, দৌলতপুর,কাগাপাশা,বরইউরি সহ অনেক গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ ইউনিয়নের বসত বাড়ি সহ রাস্তা ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে যার ফলে দিশেহারা হয়ে পরেছেন লাখো মানুষ।
বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলের শতশত পুকুর,যার ফলে মাথায় হাত মাছ চাষীদের, বন্যার পানির দুরন্ত গতির জন্য তলিয়ে গেছে অনেকের গোয়াল ঘর, হাঁসের খামার, মোরগের খামার, যার ফলে ভোগান্তির স্বীকার হয়ে দুশ্চিন্তা গ্রস্ত কৃষক, এমন কি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে বেকারত্ব নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।যার ফলে থমকে গিয়েছে অনেকের সংসারের অর্থনীতিক চাকা।
এমন অবস্থায় দেশের এই উপর্যোপরি সংকটে মানুষ এগোতে পারছেন না তাদের নিজ নিজের দায়িত্ব পালনে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ঘনঘন বৃষ্টিপাতের কারনে কুশিয়ারা,কালনী নদী সহ বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল বিলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের হাজার হাজার একর জমি যার ফলে নষ্ট হচ্ছে রোপা আমনের বীজতলা ও আমন ধানের ফসলীজমি।

বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে হবিগঞ্জ সহ সারাদেশের সাথে বন্ধ হতে যাচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের কালার ডোবা নামক স্থানে ব্রীজ নির্মানে দেরী হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে অস্থায়ী নির্মান করা বিকল্প রাস্তাটিও,

যার ফলে মানুষ জরুরী প্রয়োজনে ও অল্প সময়ে পাড়ি জমাতে পারছেন না শহরের দিকে। অসুস্থ মানুষ পারছেন না শহরের ডাক্তারের কাছ থেকে সেবা নিতে, ফলে অনেকেই হতাশায় ভোগছেন।

রাস্তাঘাট তলিয়ে যাবার ফলে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করা বাঁশের সেতু ব্যাবহারে জীবন যাএায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন ১-৪নং ইউনিয়নের মানুষ। শিশু বাচ্চাদেরকেও সারাক্ষণ রাখতে হয় কড়ানজর ধারিতে ।

এই বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে উপজেলার বন্যায় সার্বিক অবস্থা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ রানা। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে বলে ও জানিয়েছেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন