লিপু মজুমদার ধর্মপাশা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কেউটি জলমহালটি অবৈধভাবে স্থানীয় একটি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের লোকজন দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার হাবিবপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ইসলাম উদ্দিন এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওর) কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।
ইউএনওর কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,উপজেলার কেউটি জলমহালটি উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন। এটির আয়তন ১৮একর ৩৪শতক। জলমহালটি এখনো ইজারাবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এটি ১৪২৭বঙ্গাব্দ থেকে ১৪২৯বঙ্গাব্দ পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদে ইজারা পাওয়ার জন্য ১৪২৬ বঙ্গাব্দের শেষের দিকে উপজেলার কেউটি জলমহালটির তীরবর্তী হিসেবে হাবিবপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়।
কিন্ত আইন কানুনের কোনোরকম তোয়াক্কা না করে উপজেলার দক্ষিণ সলপ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সৈয়দ সবুজ মিয়া ৮/১০জন লোক নিয়ে গত রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কেউটি জলমহালটিতে যান। এ সময় তাঁরা সেখানে ওই জলমহালটির বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বাঁশ কুুপে দেন। এর পর থেকে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ওই জলমহালটিতে মাছ ধরতে আসা জেলেদেরকে সেখানে মাছ ধরতে তারা বাঁধা দিচ্ছেন। এতে করে জেলেরা তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হাবিবপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ইসলাম উদ্দিন বলেন,বেআইনি ভাবে দক্ষিণ সলপ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি সৈয়দ সবুজ মিয়া তার লোকজন নিয়ে এই জলমহালটির বিভিন্ন স্থানে কেয়কটি বাঁশ পুতে দিয়ে এটি দখলে নিয়েছেন।এ ঘটনায় ইউএনও স্যারের কাছে আমি লিখিত অভিযোগ করেছি।
দক্ষিণ সলপ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সৈয়দ সবুজ মিয়া তাঁর বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,আমরা কেউটি বিলে কোনো বাঁশ কুপে দিইনি। কেউটি জলমহালটির পাশাপাশি জালধরা নামক একটি জলমহাল আছে। এটি আমরা ইজারা নিয়েছি। সেখানে আমরা বাঁশ কুপেছি। আমাদের জলমহালটিতে নিষিদ্ধ মশারী জাল দিয়ে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরতে আসলে আমরা এতে বাধা দিচ্ছি। তবে কারও জাল নিইনি। এতে দোষের কিছু নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মুনতাসির হাসান বণেন , এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি।ঘটনাটি তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
০৬.০৮.২০২০