সিলেট ডেস্ক
ইউরোপিয়ান দেশের একটি রেস্তোরাঁর ক্যাশ কাউন্টারে একজন ভদ্রমহিলা এসে ৫টি কফি অর্ডার করলেন, বিল মেটালেন এবং সেখান থেকে একটি কফি সাসপেনশন হিসেবে রেখে বাকি চার কাপ কফি নিয়ে চলে গেলেন ।
কিছুক্ষণ পর, একজন ভদ্রলোক এসে ৪টি লাঞ্চ প্যাক অর্ডার করলেন, বিল মেটালেন কিন্তু নিয়ে গেলেন দুটো লাঞ্চ প্যাক আর দুই প্যাকেট রেখে গেলেন সাসপেনশন হিসেবে!
কিছুক্ষণ পর আরেকজন এসে ১০টা কফি অর্ডার করলেন , দশটার দাম মেটালেন কিন্তু নিয়ে গেলেন মাত্র ৪টি, ছয়টি সাসপেনশন!
এভাবেই চলতে থাকলো! এর মধ্যে একজন জীর্ণ শীর্ণ বৃদ্ধ লোক এসে কাউন্টারে জিজ্ঞেস করলেন, সাসপেনশনে কফি আছে?
কাউন্টার থেকে জানালো , অবশ্যই আছে এবং সসম্মানে উনাকে এক কাপ গরম কফি দেওয়া হোলো! তিনি বিনে পয়সায় কফি পান ক'রে চলে গেলেন! কিছুক্ষণ পর এক ভদ্রলোক ভিতরে এসে জানতে চাইলেন, আজ কি সাসপেনশনে লাঞ্চ আছে ? কাউন্টার থেকে যথারীতি সম্মতি জানিয়ে , তাকে গরম খাবারের একটি পার্সেল আর এক বোতল পানি দেওয়া হলো ।
এই ঘটনা সারাদিন চলতে থাকলো । কিছু মানুষ কষ্টের উপার্জন থেকে কিছু অজানা মানুষের খাওয়ার জন্যে পেমেন্ট করছেন । আর কিছু গরীব , দুঃস্থ মানুষ বিনা পেমেন্টে নিশ্চিন্তে খেয়ে যাচ্ছেন! দাতা এবং গ্রহিতা কেউই জানে না কারো পরিচয় । প্রয়োজন নেই পরিচয় জানার , প্রয়োজন নেই নিজের নাম জাহির করার , কিন্ত প্রয়োজন আছে কিছু অভুক্ত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেবার এবং সেটা একেবারেই গোপনে ।
মানবিকতার এই চরম শিখরে পৌঁছনো দেশটির নাম নরওয়ে । এবং নরওয়ের দেখাদেখি এই পরম্পরা ছড়িয়ে পড়ছে , ইউরোপের অন্যান্য দেশেও! জয় হোক মানবতার, জয় হোক মানুষের!
এই মানবতা সর্বপ্রথম চালু করেছিলেন হযরত উসমান ইবন আফফান রাঃ ।
(সংগৃহীত)