Categories
রিপোর্টার তথ্য

বিশ্বনাথে নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রধানমন্ত্রীর অনুদান প্রদান

রাজা মিয়া,বিশ্বনাথ বিশেষ প্রতিনিধি

সিলেটের বিশ্বনাথে নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নগদ অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার বিকেল ৩ টায় উপজেলা বি আর ডিবি হল রুম কক্ষে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পালের সভাপতিত্বে শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা সমিরুন কান্তি দের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা এস এম নুনু মিয়া বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষা বান্ধব,শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক,তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি)কামরুজ্জামান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন,যুবলীগ নেতা দবির মিয়া প্রমুখ,অনুষ্ঠানে নগদ পাঁচ হাজার টাকা করে পাঁচজন শিক্ষক কর্মচারীকে পঁচিশ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।

Categories
রিপোর্টার তথ্য

প্রকৃতি তথা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি বন ধ্বংসের কারণেই জুনোসিস ভাইরাস

রাইটার মাছুম,বিশ্বনাথ

প্রকৃতি তথা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি বন ধ্বংসের কারণেই জুনোসিস ভাইরাস কোভিড-১৯ এর পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ ঘটে।আদিকাল থেকে মানবজাতি নানা ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে আসছে। সাইক্লোন, হারিকেন থেকে শুরু করে আজকের দিনের রিটা, ক্যাটরিনা কিংবা সুনামি কোনোটাই বাদ যায়নি। এছাড়াও মাঝে মধ্যে নানা অজানা এবং মারাত্মক সব রোগ জীবাণু মানব জাতিকে বিশেষভাবে ভাবিয়ে তোলে।এইডস, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, নিপাহ ভাইরাস, সার্স, সম্প্রতি গোটা দুনিয়ার মানুষকে জীবন মৃত্যুর মধ্যে দাঁড় করিয়ে দেওয়া কোভিড-১৯ মানব জাতির অস্তিত্বে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।

বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, নিপাহ ভাইরাস, সার্স,কোভিড-১৯ এরা সবগুলোই জুনোসিস ভাইরাস। জুনোসিস ভাইরাস নিয়ে আমি নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করব:

জুনোসিস শব্দটি (ZOO+GREEK Nosos disease) গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ প্রাণীর রোগ বালাই। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বলা যায় যে সব রোগ কোন মেরুদণ্ডী প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হয় তাকে জুনোটিক রোগ বলে এবং এ প্রক্রিয়াকে বলে জুনোসিস।

মানুষ নির্বিচারে বন ধ্বংস করে চলছে। বন ধ্বংস করার ফলে প্রাণীকূল লোকালয়ে এসে পড়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগের জীবাণু মানুষের দেহে আসছে।তবে অনেক ক্ষেত্রে সরাসরিও মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। Microsoft Encarta (2006). অভিধানে জুনোসিসকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে “Disease that animals pass to human ;a disease can be transmitted from vertebrate animals to humans,e.g. rabies,anthrax or ringworm. অর্থাৎ যেসব রোগ বালাই মেরুদণ্ডী প্রাণী থেকে মানুষের দেহে স্থানান্তরিত হয়। যেমন : অ্যানথ্রাক্স, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু নিপাহ, সার্স, কোভিড-১৯। সম্প্রতি বেশকিছু জুনোসিস রোগ পৃথিবীব্যাপী মানুষকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে।

এর মধ্যে সার্স, সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, নিপাহ ভাইরাস, সর্বশেষ কোভিড-১৯ অন্যতম,কিছু আগে আফ্রিকা মহাদেশে ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বাদুড় ও বানরের মাধ্যমে তাও জুনোসিস ভাইরাস। তবে জুনোটিক রোগের জীবাণু বেশিরভাগই ভাইরাস জাতীয় ফলে প্রত্যেকটি রোগের ক্ষেত্রে ফলাফল অত্যন্ত প্রকট হয়ে থাকে। ভাইরাস সনাক্তকরণে আর্থিক সক্ষমতা এবং আক্রমণকারী ভাইরাসের প্রতিষেধক না থাকার কারণেই পশুপাখি ও মানুষের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়েছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ মানব জাতির অস্তিত্ব পৃথিবীতে হুমকি মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।

এ কারণ ভাইরাস পোষাক দেহে অতি দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে। বাতাসের মাধ্যমে কিংবা সংস্পর্শে কাছাকাছি বা গাদাগাদি হয়ে বাস করা প্রাণীর মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। দৈনিক খবরের পাতায় প্রায়ই খবর বেরোয় অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের পাঁচজনের প্রাণহানি। এই অজ্ঞাত রোগটি আমাদের দেশে প্রায়ই অজ্ঞাত থাকে। ধারণা করা হয় বন্য প্রাণীর দেহ থেকে কোন অজানা ভাইরাস খাবারের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। যেমনটি হতে পারে গ্রামাঞ্চলে শীতের সকালে খেজুরের কাঁচা রস পানের মাধ্যমে কিংবা বাদুড় কর্তৃক আধা খাওয়া কোন ফল পেয়ারা, কলা সহ বিভিন্ন ফলের অবশিষ্টাংশ ভক্ষণের মাধ্যমে।

শীতকালে আমাদের দেশে খেজুরের রস পানের বিশেষ প্রচলন আছে। মানুষের পাশাপাশি বাদুড় ও রাতের বেলা গাছে ঝুলানো হাঁড়ির মধ্য থেকে রস খেয়ে থাকে। অন্যদিকে এই বাদুড় প্রজাতিরা নিপাহ, ইবোলা ভাইরাস সম্প্রতি কোভিড -১৯ ভাইরাস ও বাদুর ও বন রুই এর দেহে জীন মিউটেশন এর মাধ্যমে চীনের হুয়ান শহর থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়ে মানুষের অসহায়ত্ব সামনে এসেছে। বাদুড় খেজুরের রস খাওয়ার সাথে হাঁড়িতে নিপাহ ভাইরাস মিশে থাকে। সকালে যখন বাড়ির সবাই ধুমধামে ঠান্ডা কাঁচা রস পান করে তখনই দেহে প্রবেশ করে নিপাহ ভাইরাস। সাম্প্রতিকালে জুনোটিক ভাইরাস নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে।

বর্তমানে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের ফলে গোটা দুনিয়া বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের সরকারগুলি তাদের গবেষণার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন। তার অন্যতম কারণ এসব রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়া। ১৯৯৯ সালে নীল ভাইরাস নিউইয়র্ক সিটিতে ছড়িয়ে পড়ে যেটি ২০০২ সালের মধ্য ভাগ পর্যন্ত দেখা গেছে। বিজ্ঞানী Daszak et al(2001) বলেন নতুন নতুন জুনোটিক রোগের প্রধান কারণ হলো বন্য প্রাণী ও মানুষের মধ্যে কাছাকাছি আসার প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশেও এক সময় প্রাকৃতিকভাবে প্রায় ভূমির ৩৫% বনাঞ্চল ছিল বর্তমানে সেটা ৭% এ এসে দাড়িয়ে আছে। আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ সুন্দরবন যা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি। সুন্দরবন গোটা জাতির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে বৈশ্বিক উষ্ণতা জনিত কারণে প্রতিবছর তৈরি বড় আকারে প্রবল ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষা করছে।

অথচ এ বনাঞ্চল আজ কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য হুমকির মুখে। ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ায় নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এটি ঘটে যখন শুকরের ব্যাপক ফার্মিং এর কারণে, শুকররা নিপাহ ভাইরাস বহনকারী ফলভোজী বাদুড় প্রজাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ঢুকে পড়ে এবং পরবর্তীতে বাদুড়ের শরীর থেকে শুকর এবং শুকরের দেহ থেকে মানুষে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। সেসময় ১০৫ জন কৃষক মারা যায়।

চলবে….

দেবব্রত সাহা সহকারী শিক্ষক (কৃষি)
বিএসসি অনার্স (প্রাণিবিদ্যা),এমএসসি (মাৎস্য), বিএড।
বাবেশিকফো সিলেট জেলা

Categories
রিপোর্টার তথ্য

“ সবুজ সঙ্কেত ” বড়খলা সমষ্টির আনাচে কানাচে ডাঃ রুমি

ইয়াহ ইয়া আহমদ,  ইন্ডিয়া

একুশ সামনে ,প্রথমে টিকিট লড়াই এরপর ভোটের লড়াই এ দুইটা জিনিস অনেকের পক্ষে জলভাত আর অনেকের পক্ষে পাহাড়সম কাজ।কে হারবে, কি জিতবে, তা পরের কথা দলীয় টিকিট কে পাবে তা আগের কথা এরমধ্যে রাজনৈতিক দলের একটাই স্বপ্ন রাজ্যের ক্ষমতা দখল , কার হাতে চলে যাবে একুশে অসমের রাজপাঠ তা অস্পষ্ট থাকলেও রাজনৈতিক হাওয়া একেবারে একশো ডিগ্রী গরম হয়ে উঠছে। কে কাকে কিভাবে টক্কর দিবে এমন প্রতিযোগিতা প্রায় শুরু বললেও চলে।আসামের মধ্যে অনেক নেতা-নেত্রী আবার কৌশলে নিজের রাজনৈতিক জমি শক্ত করে চলেছেন,জনতার সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছেন, এরমধ্যে অন্যতম আসামের প্রাক্তন সংসদীয় সচিব ডাঃ রুমি নাথ। তিনি এখন ও কাগজ কলমে কংগ্রেস দলের হলেও আগষ্ট মাসের শেষের দিকে বিজেপি দলে যোগদান করবেন ,এমন খবর ও রয়েছে এবং বিজেপি দলের টিকিট যে পাবেন তা একশো শতাংশ গ্যারেন্টি বললেও চলে। এতে ডাঃ রুমির বাড়ছে বাড়তি উৎসাহ , আগের রুটিন মাফিক বড়খলা সমষ্টির একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। টিকিট পাবেন সঙ্গে জনতার মন আশায় মগ্ন তিনি

Categories
জাতীয়

বি-বাড়ীয়ার বড় হুজুর ইন্তেকাল, শোক প্রকাশ

 

এম. এম আতিকুর রহমান

দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী আলেমে দ্বীন, খেলাফত মজলিস বি-বাড়ীয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এমদাদুল্লাহ সিরাজী’র গর্বিত পিতা, জামিয়া সিরাজীয়া মাদ্রাসার সম্মানিত প্রিন্সিপাল, শায়খুল হাদীস আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী বড় হুজুর (রহঃ) আজ দুপুর সোয়া ১২টায় ভাদুঘরস্থ তিনির নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিয়ুন। তাঁর ইন্তেকাল দেশ বিদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

দেশ ও জাতি একজন প্রথিতযশা আপোসহীন সংগ্রামী আলেম ও দ্বীনের রাহবারকে হারালো। তাঁর শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।

আজ বাদ আসর বি-বাড়িয়া জেলা ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বড় হুজুর (রহ:) কে জান্নাতুল ফিরদাউসের আ’লা মাকাম দান করুন। তাঁর পরিবার পরিজন সহ সকল মুহিববীন- মুতায়াললিকীনকে সবরে জামীল এখতিয়ার করার তৌফিক দান করুন।

Categories
জাতীয়

আগামী ২০২১ সালের মার্চে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

মিফতা, কুলাউড়া প্রতিনিধি

প্রাণ সংহারী করোনা ভাইরাস মহামারির শেষ কবে—বিশ্ব জুড়ে এ প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা হলেও এর মধ্যেই দেশে সময় ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের। আইন অনুযায়ী আগামী বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের আগে ইউপি নির্বাচন শুরু করতে হবে, আর শেষ করতে হবে জুনের আগেই। এছাড়া জেলা পরিষদের নির্বাচনও করতে হবে আগামী বছরের শেষ দিকে। আর উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচন হবে ২০২৪ সালে। এর আগে ২০২৩ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই হিসাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস পরেই হবে উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচন। উল্লেখ্য, উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচন ২০১৯ সালের মার্চে শুরু হয়ে কয়েক ধাপে শেষ হয়।

বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ শুরু হয়ে কয়েক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হয় ঐ বছরের ৪ জুন। আইন অনুযায়ী কোনো ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এই হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছরের মার্চে যেসব ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ বছর মেয়াদ হবে, সেসব ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। আর যেসব ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ আগামী বছরের জুনের প্রথম দিকেই শেষ হবে, সেসব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ করতে হবে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে।

স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম গতকাল বুধবার ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘ইউপি ও জেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনসমূহের আইনগুলো নিয়ে আমরা আজকেও বসেছি। আইনে কিছু জটিলতা রয়েছে। তার পরেও আইন যেভাবে আছে, আমাদের তো সেভাবেই এগোতে হবে। যেহেতু দেশে কোভিড-১৯-এর সমস্যা রয়েছে এবং আগামী দুই-তিন মাসেও আশানুরূপ উন্নতি হবে বলে মনে হচ্ছে না; সেই কারণে সঠিক সময়ে এই নির্বাচনগুলো করা বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে ইউপি ও জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা যায় কি না, কিংবা বিকল্প কিছু করা যায় কি না, আমরা সেটা ভাবছি।’

ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ ও নির্বাচন শুরুর সম্ভাব্য হিসাব করলে ভোটের এখনো ২ থেকে ১০ মাস বাকি থাকলেও এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীরা। দেশের কোনো কোনো এলাকায় এই তোড়জোড়ের ব্যাপকতা দেখা যায় এবারের কোরবানির ঈদে। নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কেউ কেউ একাধিক গরু জবাই করে বিলি করেছেন এলাকার ভোটারদের মধ্যে। নানা সমীকরণে ভোটের মাঠে প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকে এমন ভোটারদের বাড়িতে কেউ কেউ গরু কিনেও পাঠিয়েছেন। এখানেই থেমে থাকছেন না সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাদের তত্পরতা দেখলে মনে হতে পারে, আর কদিন পরেই যেন ভোট। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে বাড়ি, পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো এখনই প্রায় সরগরম। কোথাও কোথাও শুরু হয়ে গেছে নগদ অর্থের ছড়াছড়িও।

ইউপি নির্বাচনের পাশাপাশি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও এখন থেকেই মাঠে তত্পর। দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর। সেই হিসাবে আগামী বছরের শেষ দিকে জেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ প্রথমবার গঠনের ক্ষেত্রে প্রথম নির্বাচনের তারিখ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ঠিক করেছে। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছিল ইসি। প্রথমবার পরিষদের মেয়াদ শেষে পরের নির্বাচনগুলোতে কমিশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করবে। আইন অনুযায়ী এক জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের পাঁচ জন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠন হয়। চেয়ারম্যান ও ২০ জন সদস্যকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি করপোরেশন (থাকলে), উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এজন্য ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রতিটি জেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছিল।

যেহেতু জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ২০ জন সদস্যকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি করপোরেশন (থাকলে), উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা; সেজন্য জেলা পরিষদের আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন থেকেই তত্পর ইউপি নির্বাচন নিয়ে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজেদের বৈতরণী পার হতে ইউপি নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের জয়ী করতে নানাভাবে তোড়জোড় শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাদেরও কেউ কেউ এবার কোরবানির ঈদে ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাড়িতে গরু কিনে পাঠিয়েছেন। কেউ কেউ একাধিক গরু জবাই করে ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাড়িতে মাংস পাঠিয়েছেন।

জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় জেলা পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন থেকেই আগাম বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পেছনে। কেউ কেউ ঐসব প্রার্থীদের নির্বাচনের পুরো খরচও বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা খরচ করা শুরু করেছেন। ফলে ইউপি ও জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন থেকেই টাকার ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইত্তেফাককে বলেন, ‘আসলে আমাদের পুরো প্রক্রিয়াটিই কলুষিত। দলীয় ভিত্তিতে এসব নির্বাচন করার কারণে এখানে মনোনয়ন বাণিজ্য হয়। জেলা পরিষদকে তো মুহিত সাহেব (সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত) বলেছিলেন- অথর্ব। জেলা পরিষদের এত অল্প কয়জন ভোটার, যেখানে পুরোটাই লেনদেনের সম্পর্ক। ফায়দা লুটতে জেলা পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনই গরু বিলাচ্ছেন, টাকা ছড়াচ্ছেন—এসবই তাদের বিনিয়োগ। যেহেতু এখানে জনগণের ভোটের কোনো বিষয় নেই, তাই জনকল্যাণ বা জনসেবার ছিটেফাঁটাও নেই। নির্বাচিত হয়ে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিতেই তারা এখন থেকেই বিনিয়োগ শুরু করেছেন। এদেরই কেউ কেউ নির্বাচিত হয়ে মূর্তিমান হয়ে ওঠে। এককথায় পুরো প্রক্রিয়াটিই দুর্বৃত্তায়িত, নষ্ট।’

Categories
সারা বাংলাদেশ

ধর্মপাশায় সেলাই মেশিন বিতরণ

 

এম এইচ লিপু মজুমদার ধর্মপাশা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ গণ মিলনায়তনে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এ উপজেলার মাঠ পর্যায়ে দরিদ্র,অসহায় ও দুস্থ ছয়জন নারীর মধ্যে বিনামুল্যে একটি করে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবু তালেবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমীন আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনীন্দ্র চন্দ্র তালুকদার,পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান প্রমুখ।#

Categories
Uncategorized

কর্জশোধ,রিজিক বৃদ্ধি ও বৈষয়িক উন্নতি

হাফিজ মাছুম আহমেদ

পবিত্র কোরআন মজিদের ছুরা আলে – ইমরানের ২৩-২৭ নাম্বার আয়াতসমূহ ফজর ও মাগরিবের নামাজ শেষে সাতবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ কর্জ শোধ ও শত্রু পরাভূত হইবে।

প্রত্যহ এশার নামাজের পর শয়নকালে এই আয়াত বহুবার পাঠ করিলে আল্লাহ তায়ালা উপার্জন বৃদ্ধি, সৌভাগ্যশালী এবং দরিদ্রতা বিনষ্ট করেন।

ছহি কিতাবে এই ছুরা অবতীর্ণ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হইয়াছে যে, হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পদশালী ছিলেননা বলিয়া ইহুদী ও নাছারাগণ তাঁহার নবুয়তের দাবী অগ্রাহ্য করিত ও বিদ্রুপ করিয়া বলিত যে, হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও নবী নহেন। যদি তাহাই হইত, তবে হযরত দাউদ (আঃ) ও হযরত ছোলায়মান (আঃ) – এর মত তিনিও ঐশ্বর্যশালী হইতেন, তাঁহারাও তো নবী ছিলেন। কিন্তূ কেহই গরীব ছিলেননা, এবং পরাক্রান্ত নর পতি হিসাবে মশহুর ছিলেন। বিধর্মীগণের এই উক্তির পরেই এই আয়াতসমূহ অবতীর্ণ হয়। ইহার অব্যবহিত পর হইতেই মুসলমানদের বৈষয়িক উন্নতি, পারস্য ও রোম সাম্রাজ্য হস্তগত হইয়া দিগ্বিজয়ের সূচনা হয়। এই আয়াতের মূল হইতেছে ধন সম্পদ, বিও- বিভব একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছায়ই লাভ করা যাইতে পারে। মানুষের দৃষ্টির পরিধি অতি ক্ষুদ্র। ইহা দ্বারা আল্লাহর ক্ষমতা ও কুদরতকে সম্যক প্রত্যক্ষ করা চলে না। এই আয়াত পাঠের দ্বারা আল্লাহর অসীম কুদরত ও শক্তির কাছে নিজেকে সমর্পণ করা হয়, যে ব্যক্তি এই প্রকার নিজিকে নিঃশেষে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে, তাহার প্রতি আল্লাহর অপার করুণা বর্ষিত হইবেই হইবে। হাদীছে বর্ণিত আছে, একদা হযরত মায়াজ (রঃ) ঋণগ্রস্ত হইয়া পড়েন এবং কোনক্রমেই তাহা পরিশোধ করিতে পারেন না। অতঃপর অনন্যোপায় হইয়া হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম – এর শরণাপন্ন হইলেন। হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহাকে এই আয়াত পাঠ করিতে হুকুম দেন এবং আয়াতের ফজিলতে অচিরেই মায়াজ (রঃ) ঋণমুক্ত হইলেন।

বাংলা উচ্চারণঃ কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি তুতিল মুলকা মান তাশাউু ওয়া তানজিউুল মুলকা মিমমান তাশাউু ওয়া তুইজ্জু মান তাশাউু ওয়া তুজ্জিল্লু মান তাশাউু বিয়াদিকাল খাইর। ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। তুলিজুল্লাইলা ফিন্নাহারি ওয়াতুলিজুন্নাহারা ফিল্লাইলি ওয়া তুখরিজুল হাইয়্যা মিনাল মাইয়্যিতি ওয়া তুখরিজুল মাইয়্যিতা মিনাল হাইয়্যি, ওয়া তারজুকু মান তাশাউু বিগাইরি হিছাব।

অর্থঃ ১,( হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বল, হে আল্লাহ! তুমি সমগ্র রাজ্যের প্রভু। তুমি যাহাকে চাও রাজ্য দান কর, আর যাহার হাত হইতে চাও রাজত্ব ছিনাইয়া নাও ও যাহাকে চাও মর্যাদা প্রদান কর এবং যাহাকে চাও হতমান কর, তোমার হস্তেই সকল কল্যাণ।

আর নিঃসন্দেহে তুমি সর্ববিষয়োপরি সর্বশক্তিমান। ২, তুমি রজনীকে দিবসে পরিণত কর ও দিবসকে রজনীতে পরিণত কর। মৃত ( নিষ্প্রাণ) হইতে জীবিতকে বহির্গত কর এবং জীবিত হইতে মৃতকে বহির্গত কর ( জীবিতকে মৃত্যু দান কর)। আর যাহাকে চাও সংখ্যাহীন রিজিক দিয়া থাক।

ইয়া আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখকঃ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও গবেষক হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।

Categories
সারা বাংলাদেশ

গোবিন্দগঞ্জের আসনের সাবেক এম পি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ করনায় আক্রান্ত।

গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি :গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ করনায় আক্রান্ত হয়েছেন ।বর্তমানে তিনি নিজ বাসা গোবিন্দগঞ্জে আইসোলেশন আছেন।

জানাগেছে এর আগে সাবেক সংদের স্ত্রী গত ২৬শে জুলাই করনায় আক্রান্ত হয় তারপর স্ত্রীর সংপর্শে আশায় তাকেও সন্দেহ বসত তার নমুনা পরিক্ষা করা হলে ৮ আগস্ট শনিবার তার করনা পজেটিভ আসে।
করনার ফলাফল পজেটিভ আসলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায় তিনি শারীরিক ভাবে অস্থ ও তার শরীরে কোন করনার উপসর্গ নেই।

এদিকে আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা ও সাবেক এমপির শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানিয়েছে। করনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই সাবেক এমপি এলাকায় অবস্থান করছেন ও জন সচেতনের জন্য মাস্ক ও লিফলেট বিতারন ও লকডাউন চলাকালীন কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতারন করেন ও বিভিন্ন সংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।তারা দেশবাসীর কাছে সাবেক এমপির পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করছেন।যাতে তিনি দ্রুত পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে তিনি পুনরায় আবার সকল কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করতে পারেন।