গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: বয়স ১৬ বছর। এ বয়সে শিশুরা যখন আনন্দময় শৈশবকে উপভোগ করে। ঠিক তখন বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় ভুগছে হাছান আহমদ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসহায় পরিবারের হাল ধরতে এ বয়সে পড়ালেখা বাদ দিয়ে ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করে সে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জাফলং-এ এক মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বা পা হারায় সে। ডান পায়ে রড ডুকিয়ে দেয়া হয়েছে৷
দীর্ঘদিন দেশ-বিদেশের বিত্তবানদের সহযোগিতায় তার চিকিৎসা চালিয়ে গেছে অসহায় পরিবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসে আর হাতে টাকা না থাকায় চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছে সে। এখন তার পায়ে পঁচন ধরেছে৷ তার পা পুরোপুরি ভাল হতে প্রয়োজন আরও লক্ষাধিক টাকা। যা পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।
এজন্য আবারও তার পরিবার সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
হাসান আহমদ গোলাপগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ঘোগারকুল গ্রামের রিক্সা চালক শিহাব আহমদের ছেলে। ছেলে দূর্ঘটনার পর নিজের একমাত্র ভরসা রিক্সাটিও তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। ৩ শতক জায়গা বন্ধক রেখেছেন। এখন আর চিকিৎসা করানোর সাধ্য নেই তাদের।
হাছান আহমদকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
তার মা - ০১৭৩৪-৬৮২৯২৭..
সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১৩৪১৫৭০০০৭৫৩৩,
ডাচ বাংলা ব্যাংক, গোলাপগঞ্জ শাখা।