পলাশ পাল ঃ
শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামি একাডেমি এন্ড হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নদী।স্বপ্ন ছিল একদিন ডাক্তার হবে কিন্তু সবার সব স্বপ্ন কি আর পূরণ হয়? গত মে মাসের ১৫ তারিখ নদীর বাসার পাশে নির্মাণাধীন একটি বাসার ছাদে বিকালে ছোট নদী তার সহপাঠীদের সাথে খেলতে যায় কিন্তু ছোট এই বাচ্চা হয়তো জানে না এই বাসার উপরে বিদ্যুতের খোলা অবস্থায় টানানো লাইন আছে আর এই খোলা টানানো বিদ্যুতের ফেলে রাখা তাঁরের সাথে পা জড়িয়ে যায় নদীর।
প্রথমে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ, তারপর সিলেট এবং সর্বশেষে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে প্রেরণ করা হয়। দীর্ঘ দিন অভিজ্ঞ ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণের পর নদীর ২ টি পা হাটুর নিচে কেটে ফেলা হয়।এছাড়া শরীরের বিভিন্ন পুড়ে যাওয়া অংশ সার্জারি করা হয় মাথায় ও সাতটি সেলাই দেওয়া হয় বর্তমানেও চিকিৎসাধীন আছে।প্রায় ৩ মাস পর ১৫ দিনের জন্য নদী তার বর্তমান দক্ষিণ বড়চর(তালুগড়াই) বাড়াটিয়ার বাসায় অবস্থান করছে আবার ঢাকা নিয়ে যাবে কিছুদিন পর।
আজ বিকেলবেলা তাকে দেখতে গিয়ে চোখের জ্বল ধরে রাখতে পারি নি। এত ইনোসেন্ট একটা মেয়েকে আল্লাহ কঠিন পরীক্ষায় ফেললেন।হয়তো যদি আল্লা বাঁচিয়ে রাখেন খুব কষ্ট করতে হবে মেয়েটা কে
বাবা মা তাদের সাদ্যের বাহিরে গিয়ে সব কিছু বিক্রি করে,মানুষ কাছ থেকে ধার করে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করাচ্ছেন তবুও তারা চায় তাদের নদী বেঁচে থাকুক।জানি না আর কত দিন তারা পারবে?
এখন আসি যে মালিকের বাসার ছাদে এই খোলা অবস্থায় ফেলে রাখা তাঁর এই নদীর জীবন থেকে ২ টি পা কেড়ে নিল তারা কি এর জন্য দায়বদ্ধ নয়? কিন্তুু নদীর বাবার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ঐ বাসার মালিক নাকি আবার হুমকি সহ নানা ধরনের কথাবার্তা বলে গেছে। এখন নদীর বাবা বাদী হয়ে একটা মামলাও থানায় করছেন।
সবাই এই নিষ্পাপ মাছুম মেয়েটার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ চাইলে মেয়েটা বাঁচতেও পারে।।
আজ কত বায়না সে আবার কি স্কুলে যেতে পারবে?
তার বান্ধবীরা কি আগের মত থাকে সাথে নিয়ে খেলবে এমন প্রশ্নগুলো সত্যি অনেক কষ্টকর। যার মেয়ে সে হয়তো আজ উপলব্ধি করতে পাচ্ছে কত কষ্ট।
আমরা চাই নদী বাঁচুক এবং যাদের অবহেলায় আজ তার এই অবস্থা তাদের ও উপর নদীর চিকিৎসা থেকে শুরু করে যাবতীয় দায়বার ঐ মালিকের উপর দেওয়া হোক।