চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ-মঙ্গলবার (২৫ অাগষ্ঠ) বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তম বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
হবিগন্জের এই সূর্য সন্তানের বিদায়ে গোটা দেশে এক শোকের ছায়া নেমে আসছে। গৌরবময় একজন কীর্তিমানের প্রয়াণ জাতির অন্যতম শ্রেষ্ট সন্তান হারালাম সিলেট বাসী।
চিত্ত রঞ্জন দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। তার পৈতৃক বাড়ি তরপের হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে।
চিত্ত রঞ্জন দত্ত ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
কিছুদিন পর ‘সেকেন্ড লেফটেনেন্ট’ পদে কমিশন পান। ১৯৬৫ সালে সৈনিক জীবনে প্রথম যুদ্ধে লড়েন তিনি৷ ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে আসালং এ একটা কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন তিনি৷ এই যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাকে পুরস্কৃত করে।
মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা তুলনামূলক অনেক বেপক।
১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেব দায়িত্ব দেয়া হয় এম.এ.জি ওসমানীকে। তিনি বাংলাদশেকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন। সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং তরপ খোয়াই শায়স্তাগঞ্জ রেল লাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে ৪ নং সেক্টর গঠন করা হয় এবং এই সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম কে।
সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সিলেটের রশীদপুরে প্রথমে ক্যাম্প বানান তিনি। চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাহাড় ও চা বাগান। চা বাগানের আড়াল-কে কাজে লাগিয়ে তিনি যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ করে দিতেন অনুসরণীদের। পরবর্তী সময়ে তিনি যুদ্ধের আক্রমণের সুবিধার্থে রশীদপুর ছেড়ে মৌলভীবাজারে ক্যাম্প স্থাপন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) সি আর দও পরলোকগমনে শোকের ছায়া নেমে আসছে হবিগঞ্জ জেলায়।তিনি আম্লান আমাদের মাঝে ও চিরস্মরণীয় অমর।
তার আত্মার শান্তি কামনা করছি,
শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি ।