সিলেটের মেজরটিলায় অবস্থিত প্রাচীন এবং স্বনামধন্য দেবপুর সরকারী প্রাথমিক স্কুলে চলছে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক স্থাপত্যেশৈলীর উপর ভিত্তি করে ভাষা শহীদদের স্মরণে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ।
১৯৫২ সালের একুশে ফ্রেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে প্রথম স্মৃতি স্তম্ভ নির্মিত হয়, যা বর্তমানে ‘শহীদ মিনার’ নামে পরিচিত। শহীদ মিনার একদিকে আমাদের ভাষা আন্দোলনের প্রতীক অন্যদিকে বাঙালী জাতির ধারক ও বাহক।
দেবপুর সরকারী প্রাথমিক স্কুল প্রধান সঞ্জয় কুমার এবং ৪ নং খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান এড. আফসর আহমদের উদ্যেগে উক্ত স্কুলের জন্যে এমন দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলী সমৃদ্ধ শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ চলছে।
উক্ত শহীদ মিনারের আর্কিটেকচারাল ডিজাইন করেছেন স্বনামধন্য আর্কিটেক্ট শুভাষ চন্দ্র। শহীদ মিনারের এক্সটেরিয়র থ্রিডি ডিজাইন এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ফেরদৌস আব্বাস চৌধুরী, রুবেল আহমেদ এবং রাহি
শাহনেওয়াজ।
“ইনোভা ইন্টেরিয়র এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিডি”র প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিঃ ফেরদৌস আব্বাস চৌধুরী ও ইঞ্জিঃ রুবেল আহমেদ জানান, শহীদ মিনার আমাদের ভাষা আন্দোলনের প্রতীক। পুরো বিশ্বে আমরাই একমাত্র গর্বিত জাতি যারা মাতৃ ভাষার দাবিতে রাজপথে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। উক্ত নির্মাণ কাজের ডিজাইনের সাথে জড়িত থাকতে পেরে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত। আশা করি, খুব শীঘ্রি শহীদ মিনারের ফিনিসিং এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য যে, “ইনোভা ইন্টেরিয়র এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিডি” এর আগে জহিরিয়া এমইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের গার্লস ফ্যাসিলিটিজ রুমের ইন্টেরিয়র ডিজাইন এন্ড সেটাপ, নির্মিতব্য খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ জামে মসজিদ নির্মাণ, মেজরটিলায় নির্মিতব্য নূরপূর টু চামেলীবাগ দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও লেক সহ সিলেট নগরীর নানা উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত আছে।