আল-মামুন খান,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাংলা কথা সাহিত্যিক ও প্রখ্যাত সাংবাদিক রাহাত খান আর নেই।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন। তাড়াইল অনলাইন প্রেসক্লাব এর পক্ষ থেকেও শোক প্রকাশ এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ারের চারশো বছরের পুরনো এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৪০ সালের ১৯শে ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন কথা সাহিত্যিক রাহাত খান। সপ্তম শ্রেনী থেকে তিঁনি ময়মনসিংহ শহরে থাকা শুরু করেন। অর্থনীতি ও দর্শন নিয়ে বি.এ. পাশ করেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬১ সালে এম. এ. পাশ করে প্রায় আট বছর ঢাকার জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) সহ বেশ ক’টি কলেজে অধ্যাপনা করেন। এরপর ১৯৬৯ সালে সাংবাদিকতায় অধ্যাপনা করেন। ১৯৬৯ সালে সাংবাদিকতার পেশায় প্রবেশ এবং শুরু থেকেই ইত্তেফাক-এ। ১৯৯৬ সাল থেকে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন কথা শিল্পী।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে উপন্যাস অমল ধবল চাকরি; এক প্রিয়দর্শিনী; ছায়া দম্পতি; হে শূন্যতা; সংঘর্ষ; শহর; মধ্যমাঠের খেলোয়ার; আকাঙ্ক্ষা; কয়েকজন; অগ্নিদাহ; হে অনন্তের পাখি।
তার লেখা গল্পগুলো হল অনিশ্চিত লোকালয়; অন্তহীন যাত্রা; ভালো মন্দের টাকা; প্রভৃতি।
এছাড়া কিশোর সমগ্র; গল্প সমগ্র, উপন্যাস সমগ্র রয়েছে।
সাহিত্যক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন সময়ে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সুফি মোতাহার হোসেন পুরস্কার, মাহবুব-উল্লাহ জেবুন্নেসা ট্রাস্ট পুরস্কার, আবুল মনসুর স্মৃতি পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার, ত্রয়ী সাহিত্য পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেছেন।
রাহাত খান-এর পরিবার থেকে জানা যায় বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্য জনিত কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাদিন ছিলেন।
বার্তা প্রেরক-
আল-মামুন খান
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।
২৮/০৮/২০২০