ডেস্ক নিউজঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সমাজ সেবক মহিলা নেত্রী মোছাঃ সোনারা বেগম কে প্রাণেনাশের হুমকি ও দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে জৈন্তাপুর উপজেলা থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোনার বেগম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার আসামি হলেন (১) সেলিম আহমদ (৩১) পিতাঃ আব্দুল মালেক,(২) আবদুল মালেক (৬০) পিতাঃ মৃত ছবির আহমদ(৩) সাবিনা আক্তার(১৫) স্বামী সেলিম আহমদ (৪) আয়েশা বেগম (৩২) স্বামী শাহ খালিক,সর্ব সাং চিকনাগুল পানিছড়া থানা জৈন্তাপুর, সিলেট (৫) মোঃ ইমরান হোসেন সোহাগ (৩৩) পিতাঃ মোঃ ইলিয়াছ মিয়া সাং আল বারাকা আবাসিক এলাকা,ভি আই. ডি. সি থানা শাহপরান (রহঃ) জেলা সিলেট।
এবিষয়ে সোনার বেগম জানান বিগত ১১/০৬/২০২০ ইং তারিখে ৩নং আসামীর সাথে ১ নং আসামীর রেজিষ্ট্রারী কাবিন মূলে বিবাহ হয়। বিবাহের পর ৩নং আসামী তাহার স্বামী ১নং আসামীর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে ৩নং ধারা মতে জৈন্তাপুর সি আর -৯৩ /২০২০ নং মামলা বিগত ০৩/০৯/২০২০ ইং তারিখে দায়ের করেন। উক্ত মামলা দায়েরর পর ১নং আসামি সহ তার হার পিতা আমার নিকট আসিয়া মামলার বিরোধ সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তির জন্য বলিলে জৈন্তাপুর সি.আর-৯৩/২০ ইং মামলার বাদীর চাচা ৫নং আসামী ইমরান হোসেন সোহাগ ও ২নং আসামীর উপস্থিততে একটা খানা অঙ্গীকার নামা মূলে বিরোধ নিষ্পত্তি হয় উক্ত অঙ্গীকার নামার-১/ ২ ও ৫নং আসামী স্বাক্ষর করেন বিগত ৬/৯/২০২০ ইং তারিখে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় ১নং আসামীর বাড়ীতে ৩নং আসামী চলে যায় ১নং আসামী ঢাকায় চাকরি করেন তিনি ঢাকায় চলেগেলে ২নং আসামী ১নং আসামীর অনুপস্থিতে ৩নং আসামীর শরিরের ভিবিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গে স্পর্শ করিয়া শ্লীলতাহানি করিলে ৩নং আমাকে তাহার বাড়িতে নিয়ে বিগত- ১৫/০৯/২০২০ ইং তারিখে বিস্তারিত বলেন উক্ত ঘটনা ৩নং আসামীর মাতা সাফিয়া বেগম ঘটনা জানিয়া ১নং আসামীর বাড়ীতে আসিয়া বিস্তারিত জানেন যে তাহারা ১৫ বছরের নাবালিকা মেয়েকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখাইয়া আসামীগণ পরস্পরের শলাপরামর্শে ১নং আসামীর নিকট বিবাহ দেন উল্লেখ্য যে ৩নং আসামীর পিত্রালয় শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার। তাহার নানাবাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের থাকিত এবং চিকনাগোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করিত তাহার জন্ম তারিখ -২৯/০৬/২০০৫ইং যাহা- ২০১৯ সনের জেএসসি সাটিফিকেটে দেওয়া আছে উক্ত বিবাহ ও তৎপরবর্তী ঘটনা সম্পর্কে ৩নং আসামীর মাতা সম্পূর্ণ অজ্ঞাত। আসামীগণ একে-অপরের শলাপরামর্শে প্রতারণামূলক ভাবে ৩নং আসামীর বয়েস ১৫ বছর থাকা স্বত্ত্বেও প্রাপ্তবয়স্ক বলিয়া ১নং আসামীর সাথে ৩নং আসামীকে বিবাহ প্রদান করেন ৩নং আসামীর মাতা আমার নিকট বিচার প্রার্থী হলে আসামীগণ আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং-১৮ /৯/২০২০ইং তারিখ বিকাল ৪ ঘটি কার সময় আমার বাড়ীতে আসামী সেলিম ও ইমরান হোসেন সোহাগ দেশীয় অস্ত্র ও দুখানা লম্বা দা হাতে নিয়ে জবাই কারার ভয় দেখাইয়া দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আর বলে যে চাঁদার টাকা না দিলে বিচার পাঞ্চায়তের স্বাদ মিঠাই দিবে। আমি সমাজের সচেতন প্রতিবাদী একজন মানুষ হিসেবে সমাজের সকল মানুষের বিপদআপদে ছোটে যাই মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করি, আজ আমার উপরে এমন নেক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।পাশাপাশি উক্ত ঘটনা স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেম্বার সহ গণম্যন্য মুরব্বিদের অবগত করিয়াছি। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি। আমি চাঁদা না দিলে আসামীগণ আমি ও আমার ছেলেকে খুন করার হুমকি দেয়। আমি আইন মান্যকারী একজন মানুষ হিসেবে আমি ও আমার ছেলে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ও আমার পরিবারের পরামর্শে এবিষয়ে-২৪/০৯/২০২০ তারিখে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।