Categories
আলোচিত সংবাদ সারা বাংলাদেশ

জনপ্রতিনিধি নয়,জনসেবক হয়ে আছেন

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কৃতি সন্তান,জমির আহমেদ বহু মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীণ শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক জমির আহমদ এর একমাত্র পুত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা মঞ্জুর আহমদ জনপ্রতিনিধি নয়, জনসেবক হয়ে আছেন। স্মৃতির পাতা মুছে গেলেও মুছবে উনার পরিবারের রেখে যাওয়া কর্ম ও দক্ষতার পরিচয়। জনপ্রতিনিধি হয়ে ও যেসব কাজ এলাকায় করতে পারেন নি সমাজসেবীরা আজ সে কাজ করে যাচ্ছেন উনার পরিবার। এতো বিরল দৃষ্টান্ত। এমন মানুষ খুজে পাওয়া ও কষ্ট সাধ্য। এক তথ্যানুসন্ধানে খুঁজে পাওয়া যায় মনজুর আহমেদ এর পরিবার ও উনার সমাজ সেবার বিরাট একটি অংশ। যা শুধু এলাকায় মানুষের জন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন। সব মুছে গেলে ও মুছবে উনার কর্ম জীবনের গল্প। এলাকার মানুষের কাছে অতি সহজেই একজন জনপ্রিয় অভিভাবক হয়ে গেলেন যা বলা বাহুল্য।জনপ্রতিনিধি নয়,জনসেবক হয়ে আছেন

এ ছাড়া তিনি একজন সুপরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তি ও। কিন্তু এলাকায় আর্ত সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ভিন্ন।জানা যায় তার রাজনৈতিক জীবন দশায় তিনি কখনো এলাকায় উন্নয়নের জন্য সরকারের কোনো বরাদ্দ ছাড়াই তার ব্যক্তিগত ও পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি এলাকার মানুষের দাবি দাওয়া পূরণ করেছেন।

উনার পিতা জমির আহমেদ এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার কথা চিন্তা করে সর্বোপরি বাচ্চাদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিতে তিনি একক ভূমিকা নিয়ে ১৯৬৯ সালে নতুন বাজারে জমির আহমদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্বে ভূমি সংগ্রহ পরবর্তী বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নির্মাণ, শিক্ষকদের বেতন ভাতা,গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য সহযোগিতা সহ এই বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিচালনা করেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীণ শিক্ষানুরাগী দৌলতপুরের কৃতি সন্তান জমির আহমদ। বর্তমান সময়ে ও বিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ পরিচালনা দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জমির আহমদ।

এ ছাড়া সমাজ সেবার অংশ হিসেবে একি জনপ্রতিনিধি নয়,জনসেবক হয়ে আছেনউপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের শনির গাও গ্রামে কুরআন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করেন আয়েশা বেগম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভবন। এখানে অত্র অঞ্চলের ছোট ছোট সোনামনিরা নিয়মিত কুরআন শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া সমাজিক উন্নয়নের আরেকটি উল্লেখ যোগ্য বিষয় হলো – শরিষপুর পশ্চিম হাটি গ্রামের প্রায় ১৫০০ শত ফুট,এলাকায় খেলোয়াড়দের মধ্যে ১৫০০ শত জার্সি বিতরণ,রাস্তা নির্মাণ ও গার্ড ওয়াল প্রদান,দৌলতপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমি প্রদান,ছোট ধিরারাই মাঝ মসজিদের হুজরাখানা নির্মাণ সহ এলাকায় গরীব দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে নিরলস ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। স্হানীয় সোয়ার গাও থেকে শনির গাও,নতুন সড়কের পথচারীদের সুবিধার্থে লাইটিং ব্যবস্থা করে দেন।

এ বিষয়ে দৌলতপুর,ও নতুন বাজার এলাকার বেশ কিছু মুরব্বিয়ানদের সাথে কথা হলে তারা বলেন – দৌলতপুরের কৃতিত্ব জমির আহমদ শুধু দৌলতপুরের নয়,ওসমানী নগর তথা সিলেটের একজন সুপরিচিত মুখ।তিনি তার জীবনের সবটুকু অর্জনকে শিক্ষা,চিকিৎসা,যাতায়াত সহ এলাকায় আর্ত সামাজিক উন্নয়নে নিঃস্বার্থ ভাবে ব্যয় করেছেন। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন উনার পুত্র বিশিষ্ট শিক্ষানূরাগী সমাজ সেবক ও ওসমানী নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর আহমদ।
তিনি একজন সৎ যোগ্য ও কর্মঠ ব্যক্তি,এলাকার উন্নয়নের তার কোনো বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট সমাজ সেবক শিক্ষানূরাগী ও ওসমানী নগর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের কৃতি সন্তান উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর আহমদ বলেন – আমি কোনো জনপ্রতিনিধি নয়,তারপরও ইবাদতের অংশ মনে করে এলাকার উন্নয়নে মানুষের পাশে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।শুধু তাই নয়,আমি একজন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অংশ হিসেবে দলের কাছে এলাকার জন্য কিছু না চেয়ে ও নিজ উদ্যোগে ও আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে আর্ত সামাজিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি।
আগামী পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন,আমি আমার জীবনের সবটুকু আমার বাবার ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে আগামী দিনে ও মানুষের কল্যাণে সর্বক্ষণ নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চাই।

দলের কর্মী হিসেবে আমি কি পেলাম সেটা বড় কথা নয়,আমি নীতি আদর্শে বিশ্বাসী,উন্নয়নে বিশ্বাসী,তাই এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ জন্য সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।। আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে তার অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি দল ও মতের উর্ধে নয়,আমি মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী। তবে আমি কখনো দলের সাংগঠনিক কর্ম কান্ডের বিপক্ষে যাই নি,ভবিষ্যতে ও যাব না,বিগত নির্বাচন গুলোতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছি,স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হতে পেরে আমি নিজেকে ধণ্য মনে করি।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *