শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

তাহিরপুরে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

Coder Boss / ২৭৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

 

তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)ঃ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০ শে অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনির মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম তাহিরপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাইরুল আলমে সঞ্চালনায় এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুনামগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সভাপতি মোঃ মোদাচ্ছির আলম, তিনি বক্তব্যে বলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধস্ত সদ্য স্বাধীন দেশের প্রথম বাজেটে প্রতিরক্ষা খাত থেকেও বেশী গুরুত্ব দিয়েছিলেন শিক্ষাখাতে। ১৯৭৫ সালের হৃদয় বিধারক ঘটনার পরে আজ অবধি শিক্ষা সংস্কারে এই অমূল্য দিকদর্শন পুরোপুরি ভাবে পর্যালাচোনা বা গবেষণা করে দেখা হয়নি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম সাফল্য জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়নয়ন করা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-২০১০ প্রণয়ন, বছরের শুরুতেই বিনামূল্যে কোটি কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করে সংস্কার ও নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, ২৩ হাজার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে, ৬ শতাধিক মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণ ঘোষণা করা হয়েছে।
৭ হাজার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা নতুন ভবন নির্মান করা হয়েছে, ৯ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৫ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতো সত্বেও অস্বীকার করার উপায় নেই দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার বেশকিছু সমস্যা রয়েই গেছে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ও নীতি অনুসরণ করা যেতে পারে।বঙ্গবন্ধুর সময় সল্পতার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে যেতে পারেননি।কিন্তু জাতি তাকিয়ে রয়েছে বর্তমান সরকার প্রধানের দিকে। এদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অবহেলিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের ন্যায় একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় এখনই। প্রতিষ্ঠানের আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হবে না। দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থার ৯৭ শতাংশের বেশী গুরি দায়িত্ব পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ। এতো সত্বেও বিভিন্ন বঞ্চনা বৈষম্য আকন্ঠ নিমজ্জিত করে রাখা হয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের। শিক্ষকদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই, সচ্ছলতা নেই, আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা নেই, নেই সামাজিক মর্যাদা। অপরদিকে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সন্তানদের সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাধ্য হয়েি তারা অধিক খরচে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া করতে বাধ্য হয় এবং অর্থাভাবে ঝরে পড়ে। বেসরকারি শিক্ষা ব্যয় সাধারণ মানুষের সীমা অতিক্রম করেছে বহু আগেই। দেশের বিশাল অঙ্কের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা বঞ্চিত রেখে জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতি অসম্ভম। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে এবং প্রান্তিক অসচ্চল জনগোষ্ঠীর সন্তানদের স্বল্প খরচে শিক্ষা লাভের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক ২ কোটি শিক্ষার্থী এবং ২ কোটি অভিভাবক এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের গণদাবি তুলেছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি শুধু শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কোন আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন গুণগত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা ও প্রান্তিক অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর শিক্ষার অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আমাদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনে ওই অসচ্ছল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কষ্টার্জিত অর্থের অনিদান রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের সন্তানদেরও স্বল্প খরচে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে, এটা জাতির কাছে ঋণ আমাদের পরিশোধের অঙ্গীকার। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে, শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত করতে, বিশ্বমানের প্রজন্ম সৃষ্টি এবং মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকর্ষণ করেতই বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে এবং দেশবাসী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বর্তমানে সরকার আমলে এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ সম্ভব।

বক্তব্যের শেষে তিনি সকল শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, মেধা, নৈতিক দায়িত্ববোধ শেয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহার করে পাঠদান কার্যক্রম জোরদার করার আহবান করেন তিনি এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের লক্ষে ৬ টি লিংকও তুলে ধরা হয়।
১. www.coursera.org (education for everyone) প্লাটফর্ম (কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য)
২. জুম পদ্ধতিতে ১০০ জন একসাথে যোগ দিতে পারে।
৩. ইউটিউব লাইভ, কেউ চাইলে তার নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে চালু করতে পারেন। চ্যানেল বিষয় ভিত্তিক ক্লাসের ভিডিও আপলোড করা যাবে।
৪. ফেইসবুক লাইভ ক্লাসরুম বানিয়ে কাজে লাগাতে পারেন।
৫. গুগল ক্লাসরুম; (Classroom.google.com)
৬. মাইক্রোসফট টিম (Teams.microsoft.com/start) ক্লাসের ভিডিও আপলোডের পাশাপাশি শিক্ষক সরাসরি শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইসমাইল হোসেন, সহকারী শিক্ষক ইংরেজী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলা আইডিটি এম্বাসাডর, প্রবন্ধ পাঠ মোঃ মোদাচ্ছির আলম সুবল, সভাপতি বাবেশিকফো সুনামগঞ্জ জেলা, বিশেষ অতিথি মোঃ মিজানুর রহমান, তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, তাহিরপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রমা কান্ত দেবনাথ, কবিরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক জনতা উচ্চ বিদ্যালয় ছাতক ও আইসিটি এম্বাসাডর, আইসিটি এম্বাসাডর আবু সাঈদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষক, খাসগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,অধ্যক্ষ, মোঃ ইয়াহিয়া তালুকদার,, তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, প্রদীপ চন্দ্র রায়, প্রধান শিক্ষক, বাগলী উচ্চ বিদ্যালয়, চিরঞ্জন তাং,
মোঃ মুজিবুর রহমান, প্রধান শিক্ষক, চানপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রমূখ।

(সোহেল আহমদ সাজু,)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন