সোহেল আহমদ সাজুঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন স্পষ্ট বিকি বিলের লাল শাপলার সৌন্দর্য রক্ষায় তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং। হুমকির মুখে পর্যটন স্পট তাহিরপুরের লাল শাপলার বিকি বিল: শাপলার ডাটা ব্যবহার হচ্ছে গোখাদ্য হিসাবে শিরোনামে দৈনিক শুভ প্রতিদিন সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নৌকাযোগে বিকি বিলের আশেপাশের গ্রামগুলোতে বিকি বিলের লাল শাপলার ডাটা গোখাদ্য হিসাবে কেটে না নেয়ার জন্য বিকাল পর্যন্ত মাইকিং করে।
এর আগে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবদুল আহাদকে বিকি বিলের সৌন্দর্য নষ্ট করে স্থানীয় কৃষকরা লাল শাপলার ডাটা কেটে নিয়ে গো খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করছে জানালে তিনি সাংবাদিকদের বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার (১৮অক্টোবর) বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষা ও জনস্বার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহের নির্দেশনায় কাশতাল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকাতে জনস্বার্থে মাইকিং করে শাপলার ডাটা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেম।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, বিকি বিলের লাল শাপলার ডাটা পার্শ্ববর্তী ২-৩টি গ্রামের কিছু লোকজন তাদের গরু-মহিষের গো-খাদ্য হিসাবে উপড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য মুখ থুবড়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষার্থে ও জনস্বার্থে বিকি বিল থেকে ডাটাসহ শাপলা আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। এই আদেশ অমান্যকারীদেরকে বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরও বিকি বিলের লাল শাপলা পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। করেছে মুগ্ধও। পাহাড়ের কাছে অবস্থিত বিকি বিলের লাল শাপলার প্রেমে পড়েছিলেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। বিশাল, বিস্তৃত এলাকার বিকি বিলের লাল শাপলার মায়াজালে মোহিত হয়েছিলেন সবাই।
এজন্য গত বছরে ২১ অক্টোবর সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ ‘পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য নতুন এলাকা’ হিসেবে বিকি বিলে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। তবে এক বছর যেতে না যেতেই স্থানীয় কৃষকদের রোষানলে পড়ে সৌন্দর্য হারাতে বসেছে লাল শাপলা বিকি বিল ।