জাকির হোসেন, বরিশাল জেলা প্রতিনিধি
বৈরী আবহাওয়ার উপেক্ষা করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যেও সৈকতে উম্মাদনায় মেতে উঠেছে হাজার হাজার পর্যটক। আবাসিক হোটেলগুলোর বেশির ভাগ রুমই বুকিং রয়েছে। ঝড়ো আবহাওয়ায় হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটবে এমনটা আশা করেননি আবাসিক হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ।আগত পর্যটকরা সমুদ্রে গোসল ছুটোছুটি ও উম্মাদনায় মেতে ওঠে কুয়াকাটা সৈকত এলাকা। এদিকে ঝড়ো আবওহাওয়ার মধ্যে উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় সমুদ্রে গোসল না করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ মাইকিং করে নিষেধ করলেও মানছেন না পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক দম্পত্তি হ্নদয় বলেন, আগে থেকেই কুয়াকাটা ভ্রমণের জন্য সকল প্রস্ততি নেয়া ছিল। বৃহস্পতিবার তারা কুয়াকাটা সৈকতে এসেছেন। এসেই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পরেছেন। এমন আবহাওয়ার মধ্যে তারা আর কখনও ভ্রমণে বের হননি। তবে সমুদ্রের রুদ্র মুর্তি, উত্তাল ঢেউ দেখে ভয়ের চেয়ে ভালোই লেগেছে তাদের। হ্নদয় আরও বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে কুয়াকাটা না আসলে এমন ভ্রমণের অভিক্ষতা থেকে বঞ্চিত থাকতাম।
আবাসিক হোটেল সৈকত এর জেনারেল ম্যানেজার আবজাল গাজী বলেন, গত দুইদিন পর্যন্ত তাদের হোটেলের বেশির ভাগ রুমই বুকিং রয়েছে। ঝড়ের মধ্যে হাজার হাজার পর্যটক সৈকতে এসেছে। এমনটা তারা আশা করেননি। প্রথম শ্রেনীর আবাসিক হোটেল ওশান ভিউ’র ব্যবস্থাপক আশ্রাফুজ্জামান রনি একই অভিমত ব্যক্ত করেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোন’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যে আগত শত শত পর্যটক সমুদ্রে গোসল করতে নামছে। নিরাপত্তার স্বার্থে জোয়ারের সময় সমুদ্রে গোসল কিংবা ওয়াটার বাইক রাইডিং থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এজন্য মাইকিং করাসহ দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিষেধ করা হচ্ছে।