কামরুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টারঃ
"দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে, আগামী বছরের মার্চের শেষের দিকে একযোগে শুরু হতে পারে বাংলাদেশের স্থানীয় (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কে সামনে রেখে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনার দৌড়ঝাপ।
দেখা যাচ্ছে যে, বিগত সংসদ নির্বাচনের মত ইউপি নির্বাচনে ও অসংখ্য তরুণ নেতাকর্মী মাঠে বেশ জুর প্রচারণা চালাচ্ছেন। একজন তরুণ হিসাবে বা ক্ষমতাসীন দলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসাবে তা ইতিবাচক হিসাবে আমি দেখছি। যদি এখান থেকে সফলতা আসে অবশ্যই বিষয়টা হবে গর্ব করার মতো এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কারণ তারুণ্যই পারে যে কোনো সম্ভাবনা কে বাস্তবে রুপ দিতে। এর জন্য আমাদের কে পূর্ব সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সমাজে শুধু বয়স্ক, প্রবীণদের দ্বারা পরিবর্তন আসে না অতীত ইতিহাস থেকে বার বার প্রমাণ হয়েছে তরুণরা যতবার সংগ্রাম আন্দোলনে যোগদান করেছে ততবারই সফলতা নিয়েই এসেছে সুতরাং এখানেও যে সফলতা আসবে না এমনটা নয়।
আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন উনি তরুণদের নিয়ে কাজ করতে চান যার বাস্তব উদাহরণ বিগত পার্লামেন্ট নির্বাচনে অনেক তরুণ সাংসদ সদস্যের নতুন মুখ আমরা দেখেছি যারা ই নির্বাচিত হয়েছে তাদের দীপ্ত শপথ নিয়ে এখন পর্যন্ত খুব ভালোভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজকর্মের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকেই তারুণ্যের সম্ভাবণা প্রতিনিয়ত প্রবল হয়ে ওঠছে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে শুনা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনে প্রতীক থাকছে না সেটাও এখন ভাবনার বিষয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
যাই হোক যদি নির্বাচনে প্রতীক থাকে তবে সেখানে যেনো তারুণ্যই বেশি গ্রহনযোগ্যতা পায় এটাই চাওয়া। জননেত্রী শেখ হাসিনার মিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য তারুণ্যের বিকল্প নেই সুতরাং দিনশেষ একজন তরুণ হিসাবেই চাইবো তারুণ্যের হাত ধরে সমাজ পরিবর্তনের বিজয় আসুক যুগযুগান্তের মতো।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার দুটি লাইন মনে করিয়ে দিয়ে আমার লেখা শেষ করব।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান,
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল!
চলরে, চলরে, চল.....।
অগ্রীম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল তরুণ প্রজন্মের ধারক বাহকদের জন্য।
লেখক-মিজান আহমদ
সাধারণ সম্পাদক, ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ জকিগঞ্জ উপজেলা শাখা।