এম. এম আতিকুর রহমান :
সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরহ মুহাম্মদ সাঃ এ-র জন্ম আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড়ো নেয়ামত। তাঁর জন্ম না হলে পৃথিবীতে মানুষ আসমান জমিন কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না। এককথায় আল্লাহর পরেই রাসুল সাঃ সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব। তাঁর অনুসরণ অনুকরণ মূল্যায়ন ও যথার্থভাবে বাস্তবায়ন অপরিহার্য। কিন্তু তা হতে হবে সঠিক তরিকা পদ্ধতি খুলাফায়ে রাশেদা ও সলফে সালেহীনদের দেখানো শেখানো পথে। আল্লাহ তায়ালার বাণী -যদি তোমরা আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাও, তাহলেই রাসুলুল্লাহ সাঃ এ-র ইত্তেবা অনুসরণ অনুকরণ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন। তোমাদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাঃ এ-র জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।
সহিহ হাদিসে রয়েছে রাসুলুল্লাহ সাঃ এ-র জন্ম উপলক্ষে তিনি সবসময় সোমবার রোজা রাখতেন। এছাড়া আশেকে রাসূলগনের দাবীদাররা মিলাদুন্নবীতে জসনে জুলুস, সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের ব্যাপারে অন্য কিছু জাল হাদীস প্রচার করে থাকেন !
আর রাসুলে করিম সাঃ এ-র ৬শ বছর পর থেকে রাসুলের সুন্নাহ ও খুলাফায়ে রাশেদিন, সাহাবায়ে কেরাম রাঃ ও খায়রুল কুরুন এর আমল রোজা না রেখে এর বিপরিত তাদের ঈদে মিলাদুন্নবী পালন কেমন আশেকে রাসূলের কাজ ? কুরআন হাদিস ও খুলাফায়ে রাশেদিনের প্রকৃত অনুসরণ অনুকরণ না করে ঈদে মিলাদুন্নবী সাঃ উদযাপনের নামে অতি আবেগি আশেকিনরা সুন্নাত তরিকার বিপরীতে যে অশুভ কাজগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তা বোধগম্য হতে পারে না।
মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ব ব্যাপি মুসলমানদের বিরুদ্ধে যখন কুফরি ও তাগুতি শক্তি ঐক্যবদ্ধ। আজ মুসলিম নির্যাতনের শিকার অসহায় পুরুষ নারী শিশু আবাল বৃদ্ধি বনিতা আর্তনাদ করে ফরিয়াদ করছে, হে আল্লাহ জালিম অধ্যুষিত এ জনপদ থেকে আমাদেরকে বের করে দাও। আর আমাদের জন্য ওলী পৃষ্ট পোষক এবং সাহায্যকারী পাঠাও। কুফরি শক্তি ইসলাম ও মুসলমানদের ইতিহাস ঐতিহ্য ঐক্য এবং শক্তিশালী অবস্থানকে ধ্বংস করে দিতে চায় ! তারা মুখের আওয়াজে ইসলামের নূরকে নিবিয়ে দিতে চায় ; আর আল্লাহ তায়ালা তাঁর আলোকে প্রস্ফুটিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন ও রাসুল সাঃ কে নিয়ে ব্যাঙচিত্র করার পাশাপাশি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ইসলামী তাহজিব তামাদ্দুনও আজ সুরক্ষিত নয়। খুন গুম ধর্ষন রাহাজানি দুর্নীতি জুলুম নির্যাতন ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
অতি সম্প্রতি রাসুলুল্লাহ সাঃ এ-র সুন্নাত সালাম এবং আল্লাহ হাফেজ নিয়ে ঢাবি শিক্ষকের চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন কিসের ইংগিত বহন করছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকেই সংযমী, সহিষ্ণুতা, সৃজনশীলতা এবং উদারতা ছড়িয়ে দিয়ে রাসুল সাঃ এ-র সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণ অনুকরণের মাধ্যমেই শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, কল্যাণ ও মুক্তির দিকে ধাবমান হওয়ার কোন বিকল্প নেই। আল্লাহ তায়ালা মজলুম মানুষের পক্ষে রাসুলুল্লাহ সাঃ এ-র মহান আদর্শের আলোকে আমাদের সকলকেই কাজ করার এবং পরিচালিত হতে তৌফিক দিন।