কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রবর্তক, পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রথিতযশা ব্যাংকার. এম.আযীযুল হক (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিপুল খ্যাতির অধিকারী জ্যেষ্ঠ ব্যাংকার এম.আযীযুল হক কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের ধলা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ভূঁইয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি চার সন্তানের পিতা ছিলেন। বড় ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। অন্য তিন সন্তান-ই প্রবাসী।
তিনি গত কিছুদিন যাবৎ জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট বোধ করছিলেন। ২৮ অক্টোবর থেকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৩০ অক্টোবর রাত থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৭ অক্টোবর এম.আযীযুল হক জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। পরদিন বুধবার (২৮ অক্টোবর) তিনি সিএমএইচ এ ভর্তি হন।
প্রথমে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। তবে অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে বুধবার ২৮ অক্টোবর রাতেই তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এম. আযীযুল হক পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ‘জনক’ ও প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। মৃত্যুর আগ-পর্যন্ত পুবালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
গ্রামের বাড়িতে-ই নিজ বাড়ির আঙিনায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ধলা বহুমূখী আলিম মাদরাসা ও বহুতলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ি মাদরাসা ও মসজিদের পাশেই পারিবারিক গোরস্থানে বাবা-মায়ের পাশেই তাঁকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
এম.আযীযুল হকের জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যরা সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।