এটিএম নাসির::: আজ বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) প্রভাত আলো টোয়েন্টিফোর ডটকমে’র সম্পাদক ও প্রকাশক, জকিগঞ্জ সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আহসান হাবীব লায়েকে’র বাবা মৃত: মোঃ ফয়জুর রাহমান খলিফার নবম মৃত্যুবার্ষিকী।
তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সখড়া নোয়াবাড়ী গ্রামের মৃত রশিদ আলী তাপাদার ও মালা বিবির বড় ছেলে। ২০১১ সালের ০৩ ডিসেম্বর উপজেলার গ্রামের বাড়ীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৫৯ বছর।
সাংবাদিক আহসান হাবীব লায়েক বলেন, আজ আমার বাবার ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী, ২০১১ সালের ঠিক এমন একটি দিনে বিকাল ২:১০ মিনিটে বাবাকে হারাতে হয়েছে, আমাদের ছেড়ে চলে যান, যেখানে আমি আর মা সহ পরিবারের সকলেই উপস্থিত ছিলাম, সেদিনেই বুঝেছি বাবাকে হারানোর শোকটা কতটা কষ্টের। আমি বাবার মাথার কাছে দাড়িয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, কিছুক্ষণ পর মা বলেন তোর বাবা আর পৃথিবীতে নেই! খুব কাছ থেকে দেখছি বাবার চলে যাওয়াটা, আমি পাথর হয়েগেছি অন্যদিকে আমি নিজে ও চার বোনকে শান্ত রাখতে, বিশ্বাস হচ্ছিল না আমার বাবা নেই। সেই সময়টা মনে পড়লে দমবন্ধ হয়ে আসে। বাবাকে হারিয়ে আমি পাথর হয়ে গেছিলাম ।
আজ বাবার সাথে পথ চলার সময় গুলোকে অনুভব করছি, চলার জীবনে বাবার ছায়াতেই বড় হয়েছি, বাবার ভালোবাসা, বাবার স্নেহ, বাবার আদর আজও আমার স্মৃতিতে সতেজ হয়ে ভাসে। আজ বাবাকে আমার খুব প্রয়োজন ছিলো বাবার সাথে আমার অনেক কথা বলার ছিলো আমি বলতে পারিনি তাই মনের লুকানো কথাগুলো আজও কারো সাথে ভাগাবাগি করতে পারিনি। যাদের বাবা আছে তারা জানেনা বাবার ছায়াটা কতটা তার সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ । বাবাহীন পৃথিবীটা বেশ অদ্ভুত ! যাদের বাবা নেই তারা কেবল জানেন বাবার অনুপুস্থিতিটা কেমন । এক সময় বাবার বুদ্ধিছাড়া কোন কাজেই সফল হওয়া যেতো না, আর আজ বাবাকে ছাড়া চলতে হচ্ছে প্রতিটা মুহূর্ত ।
বুদ্ধিহীন অবস্থায় চলতে হচ্ছে এই অচেনা জীবন শহরতলীতে। কিন্তু বাবার সেই স্মৃতি বাবার সেই উপদেশমূলক কথাগুলো আজও আমার অন্তরকে গভীরভাবে নাড়া দিয়ে যায়! বেশ কিছু আশা,স্বপ্ন ,কাজ অপূর্ণ থেকে গেল আমার, সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন ।