বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
অনুমান ২০ লক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় করে কৃষকের অনন্ত ২০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কে দিবে? প্রশাসন জবাব চাই?
বিশ্বনাথ উপজেলার অন্যতম চাউলধনি হাওর ২০২০ সালে জলাভূমি বিল বন্দোবস্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আমলা গণ। এটা প্রতি বৎসর এক ব্যক্তির হাতে বন্দোবস্ত দিয়ে থাকেন। রাজস্ব পেয়েছেন বেশী হলে ২০ লক্ষ টাকা। আরো ঘুষ ঘাস খেয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা হবে। কিন্তু ২০২১ সালের বুরো মৌসুমে যে ক্ষতি করেছে ঐ বিল মালিক, তার ক্ষতি কি দিবেন ঐ ঘুষ ঘাস খাওরা আমলারা? এই কৃষকের কান্না কে থামাবে? হাওরের চার পাড়ের কৃষকের সারা বছরের খাদ্য সংগ্রহ করেন এই বুরো ধানের ফসল থেকে। সামান্য মাছ বিক্রি করার জন্য সমস্ত হাওরের পানি শুকিয়ে দিয়েছে হাওর খেকু দুই চারজন ব্যক্তি। এই হাওরের পানি শুকিয়ে পেলার কারণে এবছরের বুরো ধন হবে না। কৃষকের হাহাকার ও কান্নায় ভেঙ্গে পরেছেন। হাওর পাড়ে দলে দলে বৈঠক করতে দেখা যায়।
ঐ হাওর খেকুর হাতে বন্দোবস্ত যাওয়ার পর থেকে গরিব কোন জেলে মাছ ধরতে গেলে তাকে মারধর করে তারিয়ে দেয়া হয়। জেলেদের মাছ ধরার যন্ত্র কেরে নেওয়া হয়। হাওরের চার পাড়ের কোন মানুষকে মাছ ধরতে পানিতে নামতে দেওয়া হয় না। সরকার তাকে বন্দোবস্ত দিয়েছেন মাত্র ২০০ হেক্টর (কম বেশি) জমি, ভোগ করতেছে অনন্ত ২০ হাজার হেক্টর জমিতে। এটা কিসের আইন? কিসের বন্দোবস্ত? কোথায় পেলো এতো ক্ষমতা? কাদের ইন্ধনে এসব করছে? নাকি তার বাপ দাদার জমিদারি ক্রয় করা সম্পত্তি? ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকে সরকার তরফ থেকে চার পাড়ের কৃষকে কত টাকা করে অনুদান দিতে পারবেন? রাজস্ব আদায় করলেন ২০ লক্ষ টাকা, ক্ষতি করে দিলেন অনন্ত ২০০ কোটি টাকা! বাহ্
চাউলধনি হাওরের চার পাড়ের কৃষক ও সাধারণ মানুষ ঐক্যবন্ধভাবে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদ ও হাওর বাঁচাও আন্দোলন সর্বাত্মক সহযোগিতা সবসময়ই থাকবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আপনাদের পাশে থাকে। হাওর খেকু হাতে গোনা দুই চারজন, চারপাড়ের কৃষক কয়েক হাজার, সবাই দাঁড়িয়ে প্রসাব করলে ঐ হাওয়া খেকু বেসে যাবে কুশিয়ারা নদীতে। ভয় পাবেন না, আমরা সর্বক্ষণ আপনাদের পাশে আছি। কখন কি করতে হবে আমরা পথ দেখিয়ে দিবো। হাওর খেকু পালাবার পথ খোঁজে পাবে না। শুধু আপনারা ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে।