রিতেষ কুমার বৈষ্ণব (হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি)
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার যাত্রা পাশা গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আব্দুছ ছত্তাররের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার যুম্মার নামাজের পর দোয়া ও কবর জিয়ারত অনুষ্ঠিত হবে ।
১৯৭১ সালের দক্ষিণ বানিয়াচং সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং মহাগ্রাম বানিয়াচং সদরের বিলুপ্ত ২নং যাত্রাপাশা (বর্তমান ৩নং ও ৪নং) ইউ.পি’র সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুছ ছত্তার (হাজী সাহেব) এর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার।
এ উপলক্ষে মরহুমের হবিগঞ্জ বানিজ্যিক এলাকাস্থিত উত্তরা কমপ্লেক্সের বাসায় ও গ্রামের বাড়ী বানিয়াচঙ্গে কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হইবে।
হাজী আব্দুছ ছাত্তার ১৯৯৫ সালের এই দিনে হবিগঞ্জ বানিজ্যিক এলাকাস্থিত উত্তরা কমপ্লেক্সের লাভলী ভিলাস্হ নিজ বাসভবনে সকাল ৭ ঘটিকায় মৃত্যুবরন করেন।
স্পষ্টভাষী হাজী আব্দুছ ছত্তার বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ও রেফারেন্ডামে ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি সুনামগঞ্জের ব্যালাট ও টাকেরঘাট সাব-সেক্টরে সংগঠকের প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
৫০ এর দশকে তিনি নিজ বাড়ীতে যাত্রাপাশা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতার পর বানিয়াচং গার্লস হাই স্কুল ও পরবর্তীতে ডাঃ ইলিয়াস এডাডেমি প্রতিষ্ঠায় মূখ্য ভূমিকা রাখেন। জনাব আলী কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার অবদান কিংবদন্তিতুল্য।
তিনি দীর্ঘদিন বানিয়াচং এল আর হাই স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন। তিনি বানিয়াচঙ্গ অঞ্চলে বৃক্ষরোপনে বিপ্লব ঘটিয়ে অনুকরণীয় ও অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যাহা এখনও বিভিন্ন সড়ক ও প্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান রয়েছে।
তিনি জনগণকে ছেলে বা মেয়ে জন্ম হলে দু’টি কড়ইগাছ রোপনে উদ্বুদ্ধ করতেন। এমনকি তিনি নিজে মানূষের বাড়িতে গিয়ে বৃক্ষরোপন করে দিতেন। জনপ্রতিনিধি থাকাকালীন টেক্স প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য নিজেই মানূষের বাড়ীতে কলাগাছ রোপন করে দেয়া ছিল তাহার নেশা।
উল্লেখ্য, তিনি সাবেক ব্যাংকার আব্দুল মালেক এজাজ ও সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী (মমিন) এবং রোকশানা বেগম লাভলী এর পিতা।