আহমদ হাসান:
বিয়ের পূর্ব বন্ধুর সাথে এক বাসায় সময় কাটাতে গিয়ে জৈবিক চাহিদার সৃষ্টি হয়ে যায়, যার
যৌনমিলন কারনে অতিরিক্ত ব্লিডিং হয়ে আনুশকার মৃত্যু!! অবশ্যই প্রত্যেকটি মৃত্যু বেদনার তবে কোনটিতে থাকে বেদনা আর কোন মৃত্যুতে থাকে চরম ঘৃনা!!
ভিক্টিম ব্লেমিং এদেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার!
আর মেয়ে ঘটিত কেইস হলে তো কথাই নাই,
যে করেই হোক দোষ বের করবেই।
যেহেতু ঐ ছেলে নিজেই হাসপাতালে নিয়ে গেছে তার চিকিৎসার জন্য সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এটা ধর্ষণ নয়!!
ধর্ষণের উদ্দেশ্য হলে সে হাসপাতালে নিয়ে যেত না।
এটা দুই জনের সম্মতিতেই ঘটেছে, আর যখন ব্লিডিং শুরু হইছে তখন সে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তাই বলা যায় এটা একটা accident.
এই অপরাধে ছেলেটা যতটুকু অপরাধী ঠিক ততটুকু মেয়ের বাবা মা এরাও দায়ী!!
দেশে সব স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার পরেও মেয়ে কোথায় যায়, সেই খবর বাবা মায়ের কাছে নেই।মেয়ের পাঁচ ছয়টা বয়ফ্রেন্ড আছে, একাই বাসায় বসে আড্ডা মারে মা চা-কফি নাস্তা নিয়ে দেয়। এক কথায় ডোনটমাইন্ড ফ্যামিলির ছেলে-মেয়ে এরা!!
আর নারীবাদিদের নারীর স্বাধীনতার সুফল। শুধু ছেলেকে নয় মেয়ে ছেলের পরিবারকে আইনের আওতায় আনা উচিৎ। তাহলে বিচারে ন্যায় সবাই পাবে।
এবার আসি একটু অন্যদিকে-
বউ বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে বেশ্যা বানিয়ে ছেড়ে দেয়া ই হলো বর্তমান যুগের ভালোবাসা!!
এখন প্রশ্নঃ এই মৃত্যুটার দায়ী এখন কে? ছেলেটার দোষ তো আছেই, মেয়েটারও কি নয়? আজ এইসব অবৈধ মেলামেশা হওয়ার একমাত্র কারণ পরিবারের সচেতনতার অভাবে।
এইসব মা-বাবাদের বলতে বাধ্য হচ্ছি,
ছেলে-সন্তানদের যদি খোঁজখবর নাই রাখতে পারেন, তাহলে আপনারা জন্ম দেন কেন?
কিছুতেই আপনারা এই দাঁয়ভার এড়াতে পারবেন না, সন্তান জন্ম দিয়ে অবাধে ছেড়ে দিয়ে হালাল,হারামে নৈতিকতা শিক্ষা না দেয়ার কারনে আজ এই পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আপনারা ও জাতি ভোগ করতে হচ্ছে।
আসুন আমরা মানুষ হই, নারীদের দিকে লালসার হাত বাড়ানো বন্ধ করি, বেহায়াপনা নোংরামি ঘৃনা করি।
ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেই।
ভাল থাকুক প্রিয় দেশ, কলঙ্কমুক্ত হোক আমাদের সমাজ।
আমরা সকল মানুষের মত মানুষ হই।
🖋️আহমদ হাসান
শিক্ষার্থী: সিলেট এম, সি কলেজ।