★ঠক দাতার আত্মকাহিনী★১ম অংশ
কলমে✍️-মিটু রানী শর্মা✍
—————————————————–
💢সত্যজিৎ দাস,বাহুবল(সংবাদ প্রতিনিধি)💢
এক গ্রামে এক বিরাট প্রভাবশালী লোকের বাস।তার সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার বাড়ি পুরো রাজ প্রাসাদের মতো, এক দুই বা তিন তলা বিশিষ্ট ঘর।বাড়ির চর্তুদিক দেয়াল ঘেরা। মধ্যেতে দুইটি সদর গেইট। গেইটের সামনে দারোয়ান রাখা। প্রতিদিন বাইরে যাতায়াতের জন্য দুই তিনটি প্রাইভেট গাড়ি রয়েছে।
বিশাল সম্পদের মালিক।
সবাই তাকে বাবু বলে সম্মোধন করে। বাড়ি কিংবা বাইরে সবার কাছে সে পরমদাতা,বিশিষ্ট একজন লোক।
তার এ বিশাল সম্পত্তি ও অর্থ প্রাচ্যুর্য দেখে কোন মানুষ তার মুখের উপর কোনো কথা বলে না,বলতে ও সাহস পায় না।
তার কাছে প্রতিদিন কতেক লোক আসে সাহায্যের জন্য। সবাইকে একটু আধটু দিয়ে মন খুশি করে।তাই সবাই তাকে প্রভুর ন্যায় ভাবে। সে খুব দান-দক্ষিণা করে মন্দিরে বা মসজিদে।
যেন মনে হয়,সেই একমাত্র দয়ালু।
পরম ভক্ত স্রষ্টার অনুরূপ।
কিন্তু তার ভেতরে যে বিষাক্ত ধোঁয়া প্রতিটি অসহায় মানুষের জীবনের কষ্টের কারণ।
কতো অসহায় মানুষের আহাজারি। কতো মানুষ নির্মমতার শিকার হচ্ছে প্রতিদিন।
বিশেষ করে, গরীব ও অসহায় পরিবারকে ধ্বংস করে তার কাছ থেকে জমি-জমা আত্মসাৎ করে
নেওয়াই ছিল তার মূল লক্ষ্য।
গরীব ও অসহায় মানুষের কাছ হতে কথার মারপেঁচ করে খুব কম মূল্যে জমি কিনে অধিক লাভে বিক্রি করাই ছিল তার আয়ের একমাত্র উৎস।
জমি দালাল করে রোজ রোজ কতো অসহায় পরিবারকে সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
এইভাবে গরীবকে মেরে গরীবের জমি -জমা আত্মসাৎ করে, সে আজ মহান দানশীল ব্যক্তি বা বিরাট সম্পত্তির মালিক হয়ে গেল।
আত্মীয় -স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সকলের নিকট পরম দানশীল ব্যক্তি নামে পরিচিত লাভ করলো। কিন্তু
একদিন তার আসল রহস্য বের হয়ে আসলো।
কিভাবে সে শূন্য থেকে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল।
————————-চলবে——————–।।
★দয়া করে কেহ কারো নিজের জীবনের সাথে মিলাবেন না। এটা সম্পূর্ণ আমার মন থেকে নেওয়া একটি কাহিনি ★★