শেখ অাবুমুছা : কলারোয়ায় ২ প্রেমিক যুগলকে হত্যা করে লাশ আম গাছের ডালে একই রশিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আর এই হত্যাকান্ডে সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত নারীর স্বামী শেখ হাসান ও দেবর শেখ আসাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সাথে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লোহার একটি রড উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৮ফেব্রয়ারি) বেলা সাড়ে১১টার দিকে কলারোয়া উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ির প্রাচীর ঘেষা পারিবারিক কবরের পাশ্বে আম গাছের নিছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার রাতে বাড়ির ৪০ গজ দূরের একটি আম গাছের ডাল থেকে বাক প্রতিবন্ধী শেখ হাসানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট দক্ষিণপাড়ার গ্রামের শেখ আব্দুল করিম পাড়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় একই রশিতে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির সাংবাদিকদের জানান, প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি (মামলা নং-০৬) দায়ের হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিন জানান, নিহত ফাতেমার সাথে শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট এলাকার জয়নাল পাড়ের ছেলে করিম পাড়ের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাতে পরিত্যক্ত এক কক্ষে তাদেরকে এক সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফাতেমার বাক প্রতিবন্ধী স্বামী ও তার ছোট দেবর প্রথমে দুজনকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। পরে ফাতেমার গায়ে ব্যবহৃত কালো রঙের ওড়না ও গামছা দিয়ে তাদের গলা বেঁধে মরদেহ একটি আম গাছে ঝুলিয়ে দেয় তারা ২ভাই। এ ঘটনায় নিহত শেখ আব্দুল করিম পাড়ের বাবা শেখ জয়নাল পাড় কলারোয়া থানায় মামলা দায়েরের ২৪ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত দুই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।