রিতেষ কুমার বৈষ্ণব (হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি)
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যাকমলোচনে বিশ্ব রূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহী নমহস্তোতে।।
কোভিড ১৯ এর কারণে অন্য বছরের তুলনায় খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সরস্বতী পূজা উদযাপিত নাহলেও হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে থেমে নেই পূজার আয়োজন ও পূজারীদের আগ্রহ এবং ভাব ভক্তি।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও হিন্দু সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ, পূজা উদযাপন পরিষদ সহ পারিবারিক ভাবে পালন করা হয়েছে বিদ্যা দেবী বীণাপানির পূজা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে বিদ্যা এবং ভাগ্যের দেবী সরস্বতী । দেবীর বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে এর মধ্যে বীণাপানি নামে বেশি পরিচিত।
নির্ধারিত তারিখের বেশ আগে থেকেই সরস্বতি পূজার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয় পূজারীদের। পূজার আগের রাতেই মন্ডপ সাজানো নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে স্কুল কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের।
এই দিনে পুরাতন নতুন সকল ছাত্র ছাত্রীদের এবং একই এলাকায় থেকে ও দীর্ঘদিন যাবত যাদের সাথে দেখা হয়না তাদের সাথে মিশে রাস্তা ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিরাজ করে এক আনন্দ মুখর পরিবেশ।
শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত।
শ্রীপঞ্চমীর দিন অতি প্রত্যুষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের গৃহ ও সর্বজনীন পূজামণ্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়।
ধর্মপ্রাণ হিন্দু পরিবারে এই দিন শিশুদের হাতেখড়ি, বৈষ্ণব ভোজন, ব্রাহ্মণ ভোজন ও পিতৃ তর্পণের প্রথাও প্রচলিত রয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সর্বজনীন পূজামণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ও আয়োজন করা হয়।
আগামীকাল অরন্ধন পালন করা হবে বলে ও জানিয়েছেন অনেক পূজারী বৃন্দ।
পূজার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেন জানান গত রাত থেকেই বানিয়াচং থানার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে পুলিশি টহল রয়েছে। আমি নিজে ও সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছি।