শিরোনাম
গ্যাস সংকটে বন্ধ হল ফেঞ্চুগঞ্জের সারকারখানা ‘সুবর্ণা’ গণধর্ষণ ও হত্যামামলার রহস্য উদঘাটন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি’র মৃত্যু জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ’র বার্তা সম্পাদক-এর শুভেচ্ছা বিনিময় ‘সোনার বাংলা সমাজকল্যাণ সংস্থা’র উপদেষ্টা পরিষদ গঠন কিছু কিছু মিডিয়া আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে; ব্যারিস্টার সুমন তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান 
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

জগন্নাথপুরে সোনালী ব্যাংকে অনিয়মের অভিযোগ : গ্রাহকদের ক্ষোভ

Coder Boss / ২৪৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

মোঃ রনি মিয়া জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :

জগন্নাথপুরে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আল আমিন রাসেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ-দুর্নীতি ও বেড়িবাধঁ নির্মানে গঠিত পিআইসিদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে উৎকোচ হিসাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তাছাড়া ব্যাংকে আসা গ্রাহকের সাথে তিনি খারাপ আচরন করেন ফলে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক হিসাবে আল-আমিন রাসেল ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভূক্তভোগীরা জানায়,
লোন পাইয়ে দেয়া, সরকারী বিভিন্ন বরাদ্ধে বিল উত্তোলনের নামে কমিশন বানিজ্য সহ পেনশনের টাকা উঠাতেও গুনতে হয় বড় অংকের উৎকোচ।
এছাড়া ব্যাংকে আসা গ্রাহকদের সাথে তিনি করে থাকেন অশোভন আচরণ।
এ ব্যাপারে বেড়িবাধঁ নির্মান কমিটির ১নং পিআইসির সভাপতি ও কলকলিয়া ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ভূক্তভোগী জয়নাল আবেদিন তালুকদার বলেন ব্যাংক থেকে আমার আমানতের টাকা আনতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। আমার টাকা থেকে তারা আগেই এক হাজার টাকা উৎকোচ হিসাবে নিয়ে নেয়।
আমি এর প্রতিবাদ করলে ক্যাশিয়ার আমাকে বলেন এভাবে ১ থেকে ২ হাজার টাকা করে প্রত্যেকের কাছ থেকে বকশিস হিসাবে রাখা হচ্ছে ।
কেউ তো কোন প্রতিবাদ করেনি।
এসময় আমি আমার কাছ থেকে রাখা ১ হাজার টাকা ফেরৎ চাইলে আমার সাথে খারাপ আচরণ করা হয়। এবিষয়ে ম্যানেজার আল-আমিন রাসেল কোন কর্ণপাত না করে ক্যাশিয়ারের সাথে শোর মিলিয়ে কথা বলেন।
পরে অবশ্য আমার টাকা ফেরৎ দেয়া হয়।
তিনি বলেন আমরা কাজ করে যদি ন্যায্য টাকা তুলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়, তাহলে সরকারি কাজ নিয়ে কিভাবে সঠিক মানের কাজ করা সম্ভব। ব্যাংকে এ ধরণের বকশিসের নামে ঘুষ বানিজ্য এটা কখনো আশা করা যায়না।
ব্যবস্থাপক আল-আমিন রাসেল বলেন আমি এ ধরনের কাজে জড়িত নয়। আমি তাকে ছিনিনা বললেও লোকটি একটি ছেঁড়া নোট নিয়ে এসেছিল বলে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের গল্প শোনান। তিনি এও বলেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পুন্ন মিথ্যা।
সোনালী ব্যাংকের সুনামগঞ্জের এ জি এম, শেখ সুজাদুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ ধরনের কাজে যদি কেউ লিপ্ত থাকে, তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জনসাধারণ সোনালী ব্যাংকের ভাবমূর্তি রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন