মুহাম্মদ মামুন -
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ১দাপে অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলাধীন তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা পদপ্রার্থীদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া গতকাল শুক্রবার সমাপ্ত হয়েছে। তিনটি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ একটা ইউনিয়ন হল শিল্পনগরী ছাতকের খুব নিকটে অবস্থিত নোয়ারাই ইউনিয়ন।
এই ইউনিয়নে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৬জন এদের মধ্যে একজন ছিলেন মাননীয় সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) জনাব,মোশাহীদ আলী তিনি ইতিমধ্যেই দলীয় মনোনয়ন পত্র নৌকা না পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, এবারের নৌকার মনোনয়ন পত্র চেয়েছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী কিন্তু নৌকার ধারাবাহিক মাঝি হয়েছেন গেল নির্বাচনে একই প্রতীক নৌকা নিয়ে পরাজিত জনাব,আফজাল আবেদীন আবুল। তাকেই তার দল আস্তা রেখে নৌকার মাঝি করেছে।
জনাব,সামসুর রহমান ও বর্তমান চেয়ারম্যান পীর দেওয়ান আঃ খালেক রাজা দলীয় মনোনয়ন চাইলেও দল তাদেরকে মনোনয়ন বঞ্চিত করেছে কিন্তু তারা দলীয় মনোনয়ন পত্রের বাহিরে শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন বলে জানা গেছে এবং ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তাদের স্বতন্ত্র মনোনয়ন পত্রের বৈধতা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুইজনের একজন হলেন জনাব,নাসির উদ্দিন তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে নম্র, ভদ্র ক্লিন ইমেজ খ্যাত উচ্চ শিক্ষিত এই ইউনিয়নের তরুণ প্রজন্মের প্রিয় নাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের একজন সচেতন নাগরিক বলেন,আমরা বহুবার দেখেছি এই ইউনিয়নে অনেকেই চেয়ারম্যান হয়েছেন কিন্তু শিক্ষা ও রাস্তা ঘাটের ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেনি কেউ-ই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করেননি বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের পালস বুঝার মতো চেয়ারম্যান কয়জন এসেছেন আমার জানা নেই! শুনেছি, তরুন একজন প্রার্থী তিনি লেখা পড়া করেছেন ইংল্যান্ডে তার কথা বার্তা বাচন ভঙ্গি আদব আখলাক অত্যন্ত সন্তোষ জনক এবারের নির্বাচনে চতুর দিকে তার সুর শুনছি, আমার বিশ্বাস তিনি শেষ পর্যন্ত বিজয়ের মালা পড়বেন। এদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত জনাব,মোশাররফ হোসেন লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আগামী অনুষ্ঠিত হবে এই ইউনিয়নের নির্বাচন, দেখার অপেক্ষায় কে হবেন ইউনিয়নের নতুন অবিভাবক এবং কার পড়ছেন বিজয়ের মালা?