কামরুল ইসলাম- স্টাফ রিপোর্টারঃ-
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘জেড রাইড’ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন রাসেদ সিদ্দিকী ও সিদ্দীকা লিজা নামক দুই শিক্ষার্থী। গ্রাহকের চাহিদামাত্র আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন দুজন। তরুণ এই দুই উদ্যোক্তার জন্ম ও বেড়ে উঠা জকিগঞ্জের কাজলসারে। শহর থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী উপজেলায় বড় হয়েছেন বলে কাছে থেকে দেখেছেন যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুস্থ ও একান্ত প্রয়োজনে বিপাকে পড়া মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। সেই থেকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ চালুর স্বপ্ন তাদের। স্বপ্নকে বাস্তবে রুপায়নের অদম্য স্পৃহা থেকে সম্প্রতি কার্যক্রম শুরু করেছেন পুরোদমে। ‘জেড রাইড’ নামক অ্যাপসটি অবমুক্তকরণের লক্ষ্যে এখন চলছে পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি। উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এসেছেন দুজন, তবে থমকে যাননি। লেখাপড়ার ফাঁকে-ফাঁকে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট আত্মস্থ করার পাশাপাশি অনলাইনে ব্যাপক ঘাঁটাঘাঁটি থেকে শিখেছেন ব্যবসায়িক খুঁটিনাটি। পরিকল্পনা প্রণয়নসহ নতুনত্ব আনয়নে ভেবেছেন দীর্ঘ সময়। ফেসবুকে পেজ খোলার পর থেকেই মানুষের ইতিবাচক মন্তব্য তাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। যদিও ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শেষে অ্যাপসটির সুবিধা মানুষের দোরগড়ায় পৌঁছে দেয়া যাবে, তথাপি তারা বেশ আশাবাদি। উদ্যোক্তারা জানান, প্রথম দিকে শুধুমাত্র সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলাজুড়ে ‘জেড রাইড’ অ্যাপসের সেবা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তীতে সারাদেশে এর ব্যাপকতা ছড়িয়ে দিতে প্রচেষ্টা থাকবে তাদের। অ্যাপসটি ব্যবহার করে গ্রাহকরা অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, ভ্যান ইত্যাদি যানবাহনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী তড়িৎ গতিতে উন্নত সেবার নিশ্চয়তা প্রদানকে অন্যতম লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে গ্রহণ করেছেন তারা। লিজা সিদ্দীকা জানান- ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পরিচালনা চাট্রিখানি কথা নয়। কাজগুলো বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে আস্তে-ধীরে গুছিয়ে নিচ্ছি। প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে আমরা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে চাই।’ আর রাসেদ জানান-‘যথেষ্ঠ আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারনে রাইড শেয়ারিং প্রজেক্টটি খুবই ধীর গতিতে আগাচ্ছে। তবে আমরা সবসময় নতুনত্বে বিশ্বাসী। বিশ্বাস করি জকিগঞ্জের মতো একটি প্রত্যন্ত এলাকাতেও রাইড শেয়ারিং এর মতো প্লাটফর্ম দাঁড় করানো সম্ভব, যেটি আমরা করে দেখাতে চাই।’ তাছাড়া, কোন আগ্রহী ইনভেস্টর, এডভাইসার, টেক এক্সপার্টসহ প্রজেক্টটিতে কাজ করতে আগ্রহী থাকলে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন তারা। প্রসঙ্গত, জকিগঞ্জের সর্ববৃহৎ অনলাইন শপ ‘প্রো লিভার’ পরিচালনা করছেন এই দুই সহোদর।