জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের জগন্নাথপুর বাজারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনকেই আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত ১ জনকে গ্রেফতার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, পৌর শহরের ইকড়ছই গ্রামের মৃত তরফ উল্লার ছেলে রায়হান মিয়া, তাহির আলীর ছেলে আলী আহমদ, কনু মিয়ার ছেলে তাহমিদ মিয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে একই গ্রামের মৃত হুশিয়ার আলীর ছেলে ছায়াদ মিয়া, তার ভাই রুবেল ও ছেলে রনির উপর হামলা করে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি জিডি এন্ট্রি করা হলে হামলাকারীরা আরো ক্ষুব্দ হয়ে উঠে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন ২৬ মার্চ শুক্রবার সকালে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছায়াদ মিয়া শশা বিক্রি করার জন্য জগন্নাথপুর বাজারের স্লূইচগেট এলাকার হাজী আলা উদ্দীন মিয়ার দোকানের সামনে গেলে গ্রামের মৃত জব্বার উল্লার ছেলে তাহির আলী সহ ২০/ ২৫ জন লোক তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তার চিৎকারে তার ভাই রুবেল মিয়া ও ছেলে রনি মিয়া এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তারা মাটিতে লুটে পড়ে। এ সময় প্রাণে বাচাঁর জন্য তারা পাশ্ববর্তী একটি রেষ্টুরেন্টের ভিতরে গেলে সেখানে গিয়েও হামলাকারীরা তাদের মারধোর করে। এ সময় তারা আকুতি মিনতি করলেও শেষ রক্ষা পায়নি। তাদের দাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে রেষ্টুরেন্টের দেয়াল সহ রক্তাক্ত ছায়াদ মিয়া (৩৮), রুবেল মিয়া (২৫), রনি মিয়া (১৮) গুরুতর আহত হয় । পরে পথচারীদের সহযোগিতায় তাদেরকে দ্রুতগতিতে জগন্নাথপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে গুরুতর আহত ছায়াদ মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম বাদি হয়ে মৃত তরফ উল্লার ছেলে আক্কাছ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং ১৬ তারিখ-২৭-০৩-২১ ইং।
এ ঘটনায় জড়িত মৃত তরফ উল্লার ছেলে নরশাদ মিয়া (৩৮) কে শনিবার বিকেলে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে থানার এস আই শামিম আল মামুন জানান, ঘটনায় জড়িত নরশাদ নামের একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদি পারভীন বেগম বলেন আমরা গ্রামের নিরিহ পরিবার। আসামীরা এলাকার প্রভাবশালী ও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। আসানীরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চুরি ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, দাঁঙ্গা-হাঙ্গাঁমা সহ সকল অপরাধে জড়িত।
বাজারে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলা করেও ক্লান্ত হয়নি, আমার স্বামী, দেবর ও ছেলে তাদের হাত থেকে বাচঁতে মতিউর রহমানের রেষ্টুরেন্টে গিয়েও রক্ষা পায়নি। তারা রেষ্টুরেন্টে ঢুকে মারধোর করে রক্তাক্ত করে দোকানের মালামাল ভাংচুর করেছে।
বর্তমানে আমরা রাস্তাঘাটে চলাচল করতে পারছিনা। তাদের হুমকিজনিত কারনে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।