রিপন মিয়া মৌলভীবাজার বিশেষ প্রতিনিধি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
চলমান লকডাউন ও পবিত্র মাহে রমজানকে ঘিরে সবজির বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায়ের খবর পাওয়া গিয়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের উপর যেনো মরার উপর খরার ঘা পরেছে। সবজির কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে রয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সরজমিনে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার উল্লেখযোগ্য বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম শেরপুরবাজার,সরকার বাজার,গোরারাই বাজার, ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ক্রেতারা জানান রমজান ও চলমান লকডাউনের অজুহাতে সবজি বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম আদায় করেছেন। সবজি কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন সবজির দোকানে কোনোপ্রকার মূল্য তালিকা না থাকায় বিক্রেতাগণ ইচ্ছে মতো দাম চাচ্ছেন। ফলে আমরা সাধারণ ক্রেতারা চরম বিব্রত হচ্ছি।
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া পবিত্র মাহে রমজান ও লকডাউনকে টার্গেট করে সকল প্রকার সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ৬০ টাকা করে। এরমধ্যে কাচা মরিচ, শসা ও বেগুনের দাম বেশ চওড়া পেয়েছে। আবার অবিশ্বাস্যকর হারে লেবুর দাম বেড়ে প্রতি হালি লেবুর দাম ৬০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত দাম চেয়ে বসছেন বিক্রেতারা। এমনকি বিক্রেতাদের নিকট থেকে ক্রেতাদের কোনোপ্রকার দামাদামি করার সুযোগও থাকছেনা।
এনিয়ে শেরপুর বাজারের সবজি বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করলে প্রতি কেজি কাচা মরিচ ৬০, বেগুন ১২০, শসা ৭০, গাজর ৮০, এতে করে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজিতে মূল্য বেশ চওড়া রয়েছে। ব্যবসায়ীরা আরোও জানান, শসা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়াও ঝিঙ্গা, ঢ্যাড়েস, বরবটি, শিম, করলাসহ বিভিন্ন ধরনের শাকের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিবছর রমজানের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই পাইকারি বিক্রেতা (আড়ৎ) ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে দাম বেড়ে যায়। ফলে আমরা বেশি দাম দিয়ে সবজি কেনার কারণে খুচরা বিক্রিতে একটু বেশি দাম চাই। অনেক সময় এনিয়ে ক্রেতাদের সাথে আমাদের ঝামেলা দেখা দেয়। এতে করে আমরাও বিপাকে রয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে সাধারণ ক্রেতার মোঃ মামুন মিয়া বলেন আমরা মধ্যবিত্ত লকডাউনে আমাদের জনজীবনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাহিরে বের না হওয়াতে কোনো প্রকার কাজও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে খুঁজ নিলে অনেকের ঘরে খাবারও নেই দেখতে পারবেন।
এদিকে সবজির বাজারে এসে দেখতে পাই সবজির দাম খুব বেশি বেড়ে গিয়েছে। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। এমনিতেই জীবনযাত্রার ব্যয়ের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। অন্যদিকে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। এতে করে প্রশাসনের নিকট সবজিসহ সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।