স্টাফ রিপোর্টার::
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের যাত্রা পাশা গ্রামে অবস্থিত শ্রী শ্রী শ্যামবাউল গোস্বামীর আখড়া।
প্রায় সাড়ে তিনশত বছরের পুরনো ঐতিহ্য বাহী এই ধর্মপ্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথি উপলক্ষে এই দিনে দীর্ঘ বছর যাবত আখড়ার উদ্যোগে আখড়ার নিজস্ব বান্নীর তলা মাঠে মেলা এবং পূন্য স্নান অনুষ্ঠিত হয়, সাম্প্রদায়িকতা ভুলে হাজারো দর্শনার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন মেলাটিতে । বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন শ্যামবাউল গোস্বামীর হাজারো ভক্ত বৃন্দ।
কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সরকারি নির্দেশ পালন করতে গত বছর থেকে কোন রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই পালিত হয় এই দিবস টি।
নাম মাত্র ধর্মীয় নিয়ম রক্ষার্থে এবছরেও আজ ২০ এপ্রিল ২০২১ ক্ষুদ্র পরিসরে অনুষ্ঠিত হয় পূন্য স্নান এবং কির্তন। এতে অংশ গ্রহণ করেন এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ।
শ্রী শ্রী শ্যাম বাউল গোস্বামী ছিলেন ইষ্ট সাধনায় সিদ্ধি লাভে সমর্থ, অলৌকিক শক্তি লাভের অধিকারী, যুগসিদ্ধ এক মহা পুরুষ। শ্রী শ্রী রাম কৃষ্ণ গোস্বামীর নিকট দীক্ষা লাভ করে বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি বানিয়াচং আসেন।
অনেক বাঁধাবিঘ্ন অতিক্রম করে অবশেষে যাত্রাপাশা মহল্লায় তিনি আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অসহায় ব্যাধিগ্রস্ত জীবের পরিত্রাণকারী হিসেবে মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছিলেন।
শ্যাম বাউলের বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ও ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্যামবাউল গোস্বামীর অসংখ্য ভক্ত ও শিষ্য রয়েছে।