শিরোনাম
মালদ্বীপে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ‘মুইজ্জু’র অভূতপূর্ব জয় গ্যাস সংকটে বন্ধ হল ফেঞ্চুগঞ্জের সারকারখানা ‘সুবর্ণা’ গণধর্ষণ ও হত্যামামলার রহস্য উদঘাটন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি’র মৃত্যু জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ’র বার্তা সম্পাদক-এর শুভেচ্ছা বিনিময় ‘সোনার বাংলা সমাজকল্যাণ সংস্থা’র উপদেষ্টা পরিষদ গঠন কিছু কিছু মিডিয়া আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে; ব্যারিস্টার সুমন তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ছাতকে হাওর জোড়ে চলছে ধান কাটা ও মাড়াই-ঝাড়াই’র মহোৎসব

Coder Boss / ৪৩২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৮ মে, ২০২১

সেলিম মাহবুব,ছাতকঃ
ছাতকে হাওরে-হাওরে চলছে বোরো ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই’র মহোৎসব। তীব্র রোধ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এখন বোরো ফসল ঘরে তোলার উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন হাওর পারের কৃষান-কৃষানীরা। বর্তমানে হাওরের এ চিত্র ছাতকসহ সুনামগঞ্জ জেলার সর্বত্রই বিরাজমান। প্রচন্ড দাবদাহকে হার মানিয়ে কৃষান-কৃষানীরা এখন বোরো ধান গোলায় তুলে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিন-রাত্রী বিবেচনায় না এনে হাওর জোড়ে কৃষক পরিবারের মধ্যে বইছে এক অনাবিল আনন্দ। একাধিক কৃষক জানান, চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে এ বছর ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। পরিবেশ অনুকুলে থাকায় আশানুরূপ বোরো উৎপাদিত হয়েছে। এ দিকে ধান কাটার ভর মৌসুমে শ্রমিক সংকট অনেকটাই নিরসন করেছে কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন। হাওরে ধান কাটতে এখন হারভেষ্টার মেশিন কৃষকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছাতক উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকদের হাতে শতকরা ৭০ ভাগ ভর্তুকী দিয়ে নামমাত্র মুল্যে কম্বাইন হারভেষ্টার তুলে দিয়েছে সরকার। ফলে খুব সহজেই বোরো ফসল কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই সম্পন্ন করে ধান গোলায় তুলতে পারছেন এখানের কৃষকরা। রোদে ধান শুকানোর পাশাপাশি গো-খাদ্য খড় শুকানোর কাজটাও একই সাথে করে নিচ্ছেন কৃষকরা। গো-খাদ্য খড় শুকিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় ডিবি আকারে রাখাও কৃষি কাজের একটি অন্যতম কাজ। কৃষকরা ধানের মতো খড় শুকিয়ে নিয়ন্ত্রনে রাখার বিষয়টিও সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের নাইন্দার হাওরের কৃষক বশির মিয়া জানান, তিনি প্রায় ৬ কেয়ার জমিতে রোরো চাষাবাদ করেছেন। প্রকৃতি অনুকুলে থাকায় এ বছর ভালো ফসল পেয়েছেন। ক্ষয়-ক্ষতি ছাড়াই ধান গোলায় তোর অপেক্ষায় রয়েছে। গোদাবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল মুমিন জানান, কৃষি তার বংশগত প্রধান পেশা। ধানের পাশাপাশি শাক-সবজির বাগান, মাছের খামার ও লিচু বাগান রয়েছে তার। এ বছর বোরোর ফলন খুব ভালো হয়েছে। এখন ধানের ন্যায্য মুল্য পেলেই কৃষকরা কুষিকাজে আরো উৎসাহিত হবে। আগামী ৮-১০দিনের মধ্যেই সিংহভাগ বোরো গোলায় তোলতে পারবে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তৌফিক হোসেন খান জানান, সরকারী নির্দেশনা মতে বছর জোরেই আধুনিক চাষাবাদের উপর কৃষকদের দফা-দফায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। কৃষিক্ষেত্র প্রসার ও অধিক ফলনের জন্য উন্নতমানের বীজ, রাসায়নিক সার বিনা মুল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছেন। মাঠ দিবসসহ কৃষি কাজে তদারকি ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন কৃষকদের। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর ১৪হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ করা হয়েছে ১৪হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যেই শতকরা ৭০ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন