আসন্ন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থী, সরকারি জি.বি.জি কলেজ ছাত্র-সংসদের সহ-সভাপতি, ঘাটাইল উপজে ইক্রোকার শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা, ঘাটাইল থানা হোটেল, রেস্তারা, মিষ্টির দোকান শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা, টাংগাইল জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক, ঘাটাইল উপজেলা শাখার ছাত্রকল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক, টাংগাইল জেলা শাখার বাংলাদেশ অনলাইন বঙ্গবন্ধু পরিষদ লীগ’র সভাপতি, টাংগাইল জেলা শাখার শেখ রাসেল জাতীয় শিশু- কিশোর পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ঘাটাইল উপজেলা শাখার শেখ রাসেল জাতীয় শিশু- কিশোর পরিষদের আহ্বায়ক জনাব মো: আবু সাইদ রুবেল (ভিপি রুবেল) আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
ভিপি রুবেল বেশ কয়েক বছর যাবৎ ঘাটাইল কলেজ মোড় (বিজয় একাত্তুর চত্ত্বর) থেকে প্রতিদিন ৪/৫ জনকে দিয়ে অটো গাড়ির চালকের কাছ থেকে ২০/৩০ টাকা, সিএনজি গাড়ির চালকের কাছ থেকে ৪০/৫০ টাকা ও মাহিন্দ্রা গাড়ির চালকের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে জিবি তুলে নেয়। তাঁর (রুবেল) কাছে জানতে চাইলে গরীব মানুষ ৫ টাকা করে জিবি তুলে খায়, গরীবের পেটে লাথি দিয়ে কি লাভ? এমন কথা তিনি সাংবাদিককে বলেন।
অথচ, তিনি প্রত্যহ ৫ টাকার কথা বলে উক্ত হারে জোড়পূর্বক ভাবে জিবি তুলে নেয়। জিবি না দিলে বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ভিড়াতে দেয় না এবং কোনো এক জায়গায় গাড়ি চালককে ডেকে নিয়ে অপমান করে। নতুন কোনো মাহিন্দ্রা চালক বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ভিড়াইলে চালকের কাছে ৫০০০ টাকা চায় সমিতিতে ভর্তি হওয়ার জন্য। নতুবা ওখানে গাড়ি রাখতে দিবেনা। যাদের দিয়ে জিবি তোলানো হয় তাদের মধ্য থেকে অনেকেই জিবি টাকা দিয়ে মাদক নেশায় লিপ্ত হচ্ছে। আনাচে- কানাচে আরো যত বাসস্ট্যান্ড আছে সব বাসস্ট্যান্ড থেকে আরো অনেকেই জিবি তুলে নিচ্ছে। জানতে চাইলে বলে এ টাকা নেতারা খায়। এ টাকা কোন নেতা খায় তা বড়ই চিন্তার বিষয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরো জানা যায়, জিবি টাকা থেকে ট্রাফিক পুলিশ জনপ্রতি ১০০ টাকা করে নিয়ে থাকে, এই টাকা মাহিন্দ্রা গাড়ির চালকের কাছ থেকে আলাদা ভাবে নিয়ে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যহ বিকেল বেলায় থানা পুলিশ এসে বাসস্ট্যান্ড থেকে একেক দিন একেক মাহিন্দ্রা চালককে গাড়ি সহ থানায় নিয়ে যায় রাতে নাইট ডিউটি করার জন্য, কিন্তু তেল খরচ দেয় না। এতে দূর- দূরান্ত থেকে আসা মাহিন্দ্রা চালক থানা পুলিশের কাছে হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে।
আরেক দিকে ভিপি রুবেলের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপে কলেজ মোড় (বিজয় একাত্তুর চত্ত্বর) থেকে চারটি সিসি ক্যামেরা ও উপজেলা পরিষদ থেকে সিসি টিভি উদাও হয়েছে।