গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের সাত বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ধর্ষণকারী গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বগাইয়া হাওর দক্ষিণপাড়ার আব্দুল মোমিনের ছেলে শফিকুর রহমান (২০)।
এ ব্যাপারে নির্যাতিতার বাবা ও মা জানান, বৃহস্পতিবার আমার শালার শ্বশুরবাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাঁই ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে শুক্কুর আলির বাড়ীতে ঈদের দাওয়াতে যাই। আমি ও আমার শালা আব্দুল মোতালেব আমার ৭ বছরের মেয়েকে, আমার শালার বন্ধু ধর্ষক শফিক আহমেদ আমরা রাতে খাবার-দাবার সেরে যখন ঘুমিয়ে যাই, তখন ঘুমের মধ্যে শফিক আমার মেয়ের মুখের মধ্যে চাপ দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বলে যদি কাউকে বলবি তাহলে তোকে খুন করে ফেলবো। রাতে আর আমার মেয়ে কিছু না বলেই সকালে উঠে আমার মেয়ে ‘বাবা বাড়িতে যাব, বাড়িতে যাব’ চিৎকার শুরু করে। তখন আমরা সবাই বাড়িতে চলে আসি। আসার পর আমার মেয়ে তার মায়ের কাছে বলে যে (আমার শালার বন্ধু) সফিক রাতে আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। অবিরত তার বøাড যাওয়া দেখে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা করাই এবং আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুরুব্বিয়ানকে জানালে তারা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য প্রস্তাব করে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থার বেগতিক দেখে তখন আমার মেয়েকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। মেয়েটি এখনো ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ব্যাপারে নির্যাতিতার মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ যা বলার মতো নয়। কিন্তু আমি ওই ধর্ষণকারীর ফাঁসি চাই। আমার মেয়ের ধর্ষণকারীর উপযুক্ত বিচার চাই। আমার মেয়ের ভবিষ্যত নষ্ট হয়েছে। অনেক কষ্টের মধ্যে আছি আমরা।
নির্যাতিতার দাদা আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-২৩)।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকালে দাদা আবদুল হান্নান ওই কিশোরীকে নিয়ে থানায় এসে অভিযুক্ত সফিকুর রহমানকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
আজ কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা ভোলাগঞ্জ থেকে ধর্ষনকারী শফিকুর রাহমান কে গ্রেফতার করা হয়।