পবিত্র দেব নাথ, মাধবপুর প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুরে গত কাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ ঘটিকা সময় মনতলা শাহজালাল কলেজ
গেইটে কলেজে পড়ুয়া মেয়েকে ইভটিজারের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আব্দুল আওয়াল নামে এক বীরমুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছেন।গুরুতর আহত অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীধরপুর
গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার শিকার কলেজছাত্রী হেপী আক্তার (১৮) জানান, আজ সোমবার দুপুর ১টার মনতলা শাহজালাল সরকারী কলেজ এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে মাধবপুরে আসার পথে কলেজ গেইটের কাছে শ্রীধরপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কাওছার মিয়ার বখাটে ছেলে হাসান আল মামুনসহ ৪ যুবক ২টি মোটরসাইকেল দিয়ে এসে পথরোধ করে। এসময় ২টি মোটরসাইকেলে থাকা মামুন ও ৪ বখাটে আমাকে উত্যাক্ত করে অশ্লীল আচরণ এবং জোর পূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বখাটেদের হাত থেকে বাঁচার জন্য সুরচিৎকার শুরু করি।
এসময় মেয়ের সুরচিৎকার শুনে পথচারীর কেউ মেয়ের পিতা মুক্তিযোদ্ধাকে খরব দেয় খবর পেয়ে মেয়েকে বখাটেদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর আওয়াল ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই ইভটিজার হাসান আল মামুন সহ ও তার সংঙ্গীয় ৪ বখাটে মিলে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
উপস্থিত জনতার সহয়তায় পালিয়ে যাওয়ার সময় ১টি মোটরসাইকেলসহ হাসান আল মামুনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতয় যুবক হলোঃ- মাধবপুর উপজেলা বহরা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শ্রীধরপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কাওসায় মিয়ার ছেলে হাসান আল মামুন (১৯)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মনতল পুলিশ (তদন্ত) কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, হাসান আল মামুন নামে এক যুবকে স্হানীয় লোকজন এর সহযোগিতা আটক করা হয়েছে, তার সাথে থাকা আরো ৪ বখাটে রয়েছে সেই বিষয়ে আটক ইভটিজার বলেছে। তাদের ধরার জন্য আমাদের পুলিশ যা কিছু করা ধরকার তা করবো। সমাজে এই সব আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন(অব) কাজী কবির উদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা অত্যান্ত নিন্দনীয় ঘটনা। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার দাবী করছি।