মোঃ আব্দুল হান্নানঃ
বিস্তীর্ণ হাওরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ক্ষেতের আইল ধরে কাঁদা জল মারিয়ে, প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া ছেলেটির স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবে এবং মানব সেবায় নিজেকে নিবেদিত করবে। বর্ষার ঢেউয়ের প্রচন্ড আঘাতের সাথে লড়াই করে যারা বেচেঁ থাকা মানুষ অাল অামিন। প্রতিকুল পরিবেশে বেড়ে ওঠা ছেলেটির বুক ভড়া আশা একদিন হাওরে আলোর মশাল জ্বালাবে। কিন্তু বিধি বাম, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের আলোর মশাল হয়ে যে ছেলেটি গ্রামে ফিরে আসার কথা তার জীবন প্রদ্বীপ আজ এভাবে নিভে যাওয়ার পথে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চোখের জলে স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে।
বলছিলাম; আল আমিন নামের স্কুল পড়ুয়া স্বপ্নাহত এক ছেলের কথা। আসন্ন এস এস সি পরিক্ষার্থী আল আমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলাধীন গোয়ালনগর ইউনিয়ন অন্তর্গত অবহেলিত এক জনপদ রামপুর গ্রামের আজিজুল হকের তৃতীয় সন্তান।
এক বছর আগে হঠাৎ গলা ব্যাথা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে টিউমারের মত কিছু বুঝতে পেরে চিকিৎসা দেন ডাক্তার। অল্প দিনের মধ্যেই অবস্থার অবনতি দেখা দিলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ডাক্তার জানালো আল আমিন ক্যন্সারে আক্রান্ত। কথা শুনে আকাশ ভেঙ্গে পড়লো সামান্য আয়ের ফেরিওয়ালা বাবা আজিজুল হকের মাথায়। গ্রামের কৃষক পরিবারের সাধারণ মানুষ বাবা আজিজুল হক ক্যন্সার সম্পর্কে ভাল কিছু না জানলেও এটুকু ধারণা আছে যে ক্যন্সারের চিকিৎসা অনেক ব্যায় বহুল।
হাল ছাড়েনি তবু আজিজুল হক। প্রতিদিন ফেরি করে যা আয় হয় তা দিয়ে ছয় সদস্যের পরিবারের খরচ যোগান দিয়ে ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ক্যন্সারের চিকিৎসা সামান্য আয়ে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এক বছরে গ্রামের সামান্য জমি, হালের গরু বিক্র করে সর্বস্ব খুইয়েছেন আল আমিনের বাবা আজিজুল হক। অর্থাভাবে কিছুদিন চিকিৎসা বন্ধও রেখেছেন। ধার কর্জ করে, আত্মীয় স্বজন ও সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় আবারো ভর্তি করিয়েছেন হাসপাতালে। সময় মতো অর্থ যোগান দিতে পারলে আর সঠিক চিকিৎসা পেলে আল আমিন হয়তো আবারো ফিরে যাবে মায়ের কুলে, দেখা হবে সহপাঠীদের, গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ আবারও পরিপূর্ণ হবে আল আমিনের প্রাণ চঞ্চলতায়।
উপায়ন্তর না দেখে দেশ বিদেশের হৃদয়বান ব্যক্তি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন আল আমিনের পরিবার।
আল আমিন বর্তমানে ঢাকাস্থ ডি এস কে হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডাঃ ফারজানা রহমান এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আল আমিনের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসুন, একটি স্বপ্নকে বাঁচতে দিন সে বাঁচতে চায়।
আল আমিনের চিকিৎসা সহায়তা ও অন্যান্য তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৮৯০৩১৭৯১২ এই নাম্বারে (উম্মে হাবিবা, আলামিনের বড় বোন)