সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):
বৃহস্পতিবার(০৪ নভেম্বর ২০২১) রাতে ডা. তৃণা ইসলাম নামে এক নারী বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা করেন। মামলায় শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন সাবেক উপস্থাপিকা ও চিকিৎসক তৃণা । ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী তৃণা । সম্মেলনেও তিনি শাকিল আহমেদের করা প্রতারণা, প্রতিহিংসা ও ভ্রূণ হত্যার বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেন।
গুলশান থানা পুলিশ জানায়,সাংবাদিক শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।তাকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
মামলার বরাত দিয়ে গুলশান থানা–পুলিশ বলেছে, ডা: তৃণা'র সঙ্গে শাকিল আহমেদের সম্পর্ক হয়। পরে তৃণা'কে বিয়ে করার আশ্বাস দেন তিনি। সম্পর্কের একপর্যায়ে তৃণা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে শাকিল কৌশলে তৃণার গর্ভপাত ঘটান। এরপর শাকিল তাঁকে আর বিয়ে করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শাকিল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন গণমাধ্যমকর্মী সত্যজিৎ।শাকিল আহমেদ সত্যজিৎ'কে জানান, “আমি দারুণ ‘শকড’। তারপরও সঠিক তদন্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সত্য বের হয়ে আসবে।যেহেতু একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধানের দায়িত্বে আছি,ব্যক্তি আমি বলে না, ৭১ এ বার্তা প্রধান আছি বলেই আমি একটা মহলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছি "। উল্লেখ্য যে,শাকিল আহমেদ একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রুপার স্বামী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তৃণার সঙ্গে শাকিল আহমেদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ডা: তৃণা'কে বিয়ের আশ্বাসও দিয়েছিলেন শাকিল। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে অভিযুক্ত শাকিল আহমেদ কৌশলে তার গর্ভপাত ঘটান। এরপর শাকিল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাত ১২টায় ভুক্তভোগী তৃণাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশান থানা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে আসে।
ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: মামুন বলেন, ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে নিয়ে এসেছিলাম। তাকে এখানে ভর্তি করা হয়েছে। গুলশান থানায় ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক তৃণা ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, গুলশান থানা পুলিশ একজন ভিকটিমকে রাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে নিয়ে আসে। তাকে এখানেই ভর্তি করা হয়েছে।