সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):
শনিবার থেকে সারা দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকার এই বিশেষ কার্যক্রম চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। গতকাল(০৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক বলেন, দেশে প্রায় ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এখন চালু আছে। প্রতিটি ক্লিনিকে ৫ থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে গড়ে ৫০০ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে সারা দেশে ওয়ার্ড পযার্য়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই আলোকে গতকাল(০৬ নভেম্বর) শনিবার হবিগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদানের ১ম দিনে শুধু মাত্র বাহুবল উপজেলার ৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এ টিকা প্রদান করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে টিকা গ্রহণের হার শতকরা ৯৯.৭%। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ মোঃ আব্দুল মতিন ডেইলি সিলেট নিউজ24'কে জানান , শনিবার ৬ নভেম্বর প্রথম দিনে শুধু মাত্র বাহুবল উপজেলার ৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকে লক্ষ্যমাত্রা হলো ৫শত করে। সেই হিসেবে ৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩হাজার ৫শত টিকা প্রদান করার কথা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩হাজার ৪৯১জন মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন। শতকরা হারে ৯৯.৭%।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল কয়েকটি উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকে একসাথে টিকা প্রদান করা হবে। সরকারীভাবে আমাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, ৬ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে রুটিন ইপিআই টিকা কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় করে কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনার টিকা প্রদান করার জন্য।
তবে এক রাউন্ড করে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে এ টিকা প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে যেসকল উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বেশী সেসকল উপজেলায় ২ থেকে ৩দিন লাগতে পারে, আর ছোট উপজেলা গুলোতে একদিনে শেষ করতে পারবে।
বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বাবুল কুমার দাস জানান, ' আজ প্রথম দিনে বাহুবল উপজেলার ২১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ৭টি ক্লিনিকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে। সুষ্টভাবে সম্পন্ন হয়েছে,কোন ধরণের অসুবিধা কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।আশা করছি এ ক্যাম্পেইন ভালোভাবেই সম্পন্ন হবে '।
উল্লেখ্য যে,কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা দেওয়ার এই বিশেষ ক্যাম্পেইনের আগে আরও দুটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম ক্যাম্পেইনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল ৭ আগস্ট। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ক্যাম্পেইনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর। এর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছিল ২৮ ও ৩০ অক্টোবর।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গড়ে তোলা হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ক্লিনিকগুলোতে মূল দায়িত্ব পালন করেন কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)। তাঁকে সহায়তা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দুজন মাঠকর্মী। সরকার ইতিমধ্যে সব সিএইচসিপিকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছে।