স্টাফ রিপোর্টার:
চট্রগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল বনবিট অফিসের অদূরে জঙ্গলের চাম্বল গ্রামের ধানক্ষেতে একটি বন্য হাতি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে হাতিটি মারা যায়। শুক্রবার(১২ নভেম্বর) সকালে পাহাড়ের লোকজন হাতিটি দেখতে পান।
এর আগে গত শনিবার(৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, মঙ্গলবার(৯ নভেম্বর) শেরপুরের শ্রীবরদী এবং বুধবার(১০ নভেম্বর) কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তিনটি মৃত হাতি উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রামের আলোকিত চট্টগ্রাম এর প্রতিনিধি উজ্জ্বল ডিসি সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান, হাতির পেটের নিচে রক্তক্ষরণের চিহ্ন ছিল। আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তির ধানক্ষেতের মাঝে মারা যায় হাতিটি।
আলোকিত চট্টগ্রাম এর উজ্জল ডেইলি সিলেট নিউজ24'কে জানান,১৩ নভেম্বর দুপুর ৩টায় হাতির ময়নাতদন্ত করেন চকরিয়া সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান ও বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া।
ময়নাতদন্তের পর হাতির শূড় ও অন্যান্য অংশ সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান উনি।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরাতে তিনটি হাতির পাল পৃথকভাবে ঘোরাঘুরি করে। এক পালে ৭টি, অপর দুই পালে ৫টি ও ২টি হাতি রয়েছে। মারা যাওয়া হাতিটি ২টি হাতিওয়ালা পালের ১টি হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চাম্বল পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের প্রায় ৫০ শতাংশ দখল করে কয়েক হাজার অবৈধ ঘর-বাড়ি গড়ে উঠেছে। এমনকি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বৈদ্যুতিক লাইনও সঞ্চালিত হয়েছে। ফলে হাতির দল খাদ্য সংকটে বনের পাশের লোকালয়ে এসে নানাভাবে মারা যাচ্ছে।
বাঁশখালীর বন বিভাগের জলদি রেঞ্জের রেঞ্জার শেখ আনিচ্ছুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, হাতির মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের আগে কিভাবে মারা গেছে তা বলতে পারছি না।
বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, হাতির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের ফলাফল পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন হবে। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু, নাকি হত্যা করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।