টাংগাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাংগাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলাধীন ০২ নং ঘাটাইল ইউনিয়ন ০৪ নং ওয়ার্ড তথা নিয়ামতপুর মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত ভূমি আত্মসাৎকারী মুতাওয়াল্লী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন মিয়ার বিচার দাবিতে, এডভোকেট মোঃ মাহবুবুর রহমান খান মিল্টনের সভাপতিত্ত্বে ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ইং তারিখ শুক্রবার সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকার সময় মানববন্ধন হয়েছে। ইসি নাম্বারঃ ৮১২২, কাজী ইয়াকুব উদ্দিন মিয়া ওয়াকফ এস্টেটের সূত্র ধরিয়া অসৎ ও দুর্নীতি পরায়ন মোতওয়াল্লী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন মিয়াকে স্বীয় দায়িত্ব হইতে অপসারণ করিয়া নিয়ামতপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির উপর ওয়াকফ এস্টেটের দায়িত্বভার ন্যাস্ত করিবার জন্য ওয়াকফ প্রশাসক বরাবর আবেদন জানানো হইয়াছে। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি সংলগ্ন নিয়ামতপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। নিয়ামতপুর, কান্দুলিয়া, কাজীপাড়া মৌজার ১৩.৯১ একর সম্পত্তির মালিক ছিলেন মহামহিম দানবীর কাজী ইয়াুকুব উদ্দিন মিয়া, তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। নিয়ামতপুর জামে মসজিদের পাশেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। মসজিদের প্রাত্যহিক ব্যয়ভার নির্বাহ ও ধর্মীয় কার্যাদি প্রতিপালনের নিয়তে তিনি তাহার মালিকানাধীন ১৩.৯১ একর সম্পত্তি বিগত ১৯.৩৯ ইং সনে এক রেজিঃ দলিলে লিল্লাহ ওয়াকফ করেন। ওয়াকফকৃত সম্পত্তি ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ে সূত্রে বর্ণিত ইসি নথিতে নিবন্ধিত আছে, যাহাতে কথিত মোতওয়াল্লী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন মিয়া মোতওয়াল্লী নিযুক্ত আছেন। সে (মোশারফ) ওয়াকফ এস্টেটের স্বার্থ হানিকর এমন কিছু অপকর্ম করিয়াছেন যাহার ফলে তিনি ওয়াকফ এস্টেটের মোতওয়াল্লী পদে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার হারাইয়াছেন। ওয়াকফ আইনানুযায়ী সমুদয় ওয়াকফকৃত সম্পত্তি ওয়াকফ এস্টেটের নামে রেকর্ডভূক্ত থাকার নিয়ম থাকিলেও অত্যন্ত দুঃখজনক সত্য এই যে, তিনি বি এস জরীপে প্রায় সমুদয় ওয়াকফকৃত সম্পত্তি তাহার ব্যক্তিমালিকানায় রেকর্ডভূক্ত করাইয়াছেন। মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকলেই তাহাতে মসজিদের উদ্দেশ্যে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি তাহার ব্যক্তি নামের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট ওয়াকফ এস্টেটের নামে রেকর্ডভূক্ত করানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করিলে তিনি বিভিন্ন কৌশলে তাহা এড়াইয়া যান। প্রতি বৎসর ওয়াকফ সম্পত্তি লাগিয়ত করিয়া লক্ষাধিক টাকা আয় করিয়া তাহা হইতে নামমাত্র অর্থ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ে ওয়াকফ চাঁদা বাবদ পরিশোধ করিয়া অবশিষ্ট টাকা ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাসে ব্যয় করেন। ওয়াকফ দলিলের শর্তানুযায়ী যিনি মোতওয়াল্লী নিযুক্ত থাকিবেন, তাহাতে অবশ্যই ওয়াকিফের গ্রামের বসতবাড়িতে বসবাস করিতে হইবে। অত্যন্ত দুঃখজনক হইলেও সত্য যে, তিনি কখনোই গ্রামে আসেন না। গ্রামের মসজিদে কখনোই একটি জুম্মার নামাজও আদায় করেন নাই। তাহার এক কনিষ্ঠ ভ্রাতার মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তি লাগিয়ত করেন। ইদানিং তিনি ওয়াকফ দলিলের তথ্যাদি গোপন করিয়া তর্কিত বি এস রেকর্ডের অনুবলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু প্রকৃতির কতিপয় লোকের নিকট ছাপ কবলায়/এওয়াজ বিনিময় দলিলের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তরের পাঁয়তারা করিতেছে। ওয়াকফকৃত সম্পত্তির বাজার মূল্য কমপক্ষে তিন কোটি টাকা হইবে। তিনি পেশায় একজন অবসর প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব খাটাইয়া ওয়াকফ সম্পত্তির স্বার্থে প্রতিবাদমূখর ব্যক্তিবর্গকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। সমাজের বিবেকমান ব্যক্তিবর্গ একত্রিত হইয়া ভয়ভীতির উর্দ্ধে উঠিয়া ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষাকল্পে ওয়াকফ প্রশাসকের নিকট মোতওয়াল্লীর অনিয়ম ও দূর্নীতির তথ্যাদি প্রকাশ করিয়াছে। সরকারি স্বার্থযুক্ত ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষায় তাহাদের চাইতে ওয়াকফ প্রশাসক মহোদয় আরো বেশি তৎপর ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করিবেন বলে আশা করা যায়।