ফজলে রাব্বি,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পিয়ারাপুর সোনারভিটা গ্রামের সাজু মিয়ার মেয়ে সানজিদা আক্তার সোমা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. সাগর মিয়ার সাথে প্রেম ঘটিত কারণে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই বিবাহকে কেন্দ্র করে এলাকার সুযোগ সন্ধানী কতিপয় ব্যক্তি বাল্য বিবাহের অপপ্রচার চালিয়ে অস্বস্থিতিশীল ও উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালায়। এর প্রতিবাদে
শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের মামা মকসুদার রহমান মিলন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, গত ১০ মার্চ গাইবান্ধা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে ছেলে-মেয়ে উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় সানজিদা আক্তার সোমা ও মো. সাগর মিয়া উপস্থিত হয়ে ৫ লাখ টাকা দেনমহর আনা ধার্য করে এফিডেভিটের মাধ্যমে কাজীর দ্বারা বিবাহ রেজিস্ট্রি করার পর মৌলভী দ্বারা বিবাহ পড়ানো হয়। তারপর ওই গ্রামের সুযোগ সন্ধানী চাঁদাবাজ আজিজার, লুৎফর, জোবেদ আলী, আজিজুল, ওয়াশিম সহ কতিপয় ব্যক্তি তাদের ছেলে-মেয়ের সংসার নষ্ট করার জন্য বিভিন্নভাবে অপপ্রচার ও পায়তারা চালিয়ে চাঁদা দাবি করে। ওই চাদার টাকা না দেয়ায় তারা প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবারকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশসহ নানা ধরণের হুমকি প্রদর্শন করে।
ফলে জীবনের নিরাপত্তার জন্য তার ভগ্নিপতি সাজু মিয়া ও বোন আছমা বেগম ছোট শিশু সন্তান নিয়ে আত্মগোপনে যায়। সংবাদ সম্মেলনে উক্ত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। ছেলেমেয়ের পছন্দের কারণে তারা নিজেরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর সুখে-শান্তিতে সংসার করায় উভয় পরিবারের মধ্যে আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। এই বিবাহকে কেন্দ্র করে কোন তৃতীয় পক্ষ সমাজে শান্তি শৃংখলা বিঘ্নিত করতে না পারে সেজন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের বাবা সাজু মিয়া, মা আছমা বেগম ও তাদের শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।