আল-মামুন খান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের হাওরের ছয়টি উপজেলার প্রায় বত্রিশটি ইউনিয়নে দুই শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ইটনার ধনু নদী ও নরসুন্দা নদীর পানি উপচে প্লাবিত হতে শুরু করেছে গ্রাম, হাট বাজার এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ইটনা উপজেলার পাঁচটি, মিঠামইনের সাতটির সবকটি, অষ্টগ্রামের তিনটি, নিকলীর পাঁচটি, করিমগঞ্জের ছয়টি এবং তাড়াইল উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও হাটবাজারে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। দুর্গত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা প্লাবিত গ্রামগুলোতে ইতোমধ্যে ১৪৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ ছাড়া গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে জেলার সব অঞ্চলের জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। গবাদিপশু গুলো খাদ্য ও আশ্রয় সংকটে রয়েছে।
দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানিয়েছেন, হাওরের ওপর প্রবাহিত বিভিন্ন নদ-নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামীকাল থেকে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওরের সব জায়গায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ শুরু হয়েছে। আমি এই মুহূর্তে দুর্গত এলাকাগুলোতে রয়েছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।