স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহের কারণে সৃষ্ট ভ্যাপসা গরম আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান বলেন,চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে। তবে গড় তাপমাত্রা এলাকাভেদে ৩৫-৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠেছে। এ কারণে দেশজুড়ে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি রয়েছে।
তিনি বলেন,‘দক্ষিণাঞ্চলে ঘনঘন বৃষ্টিপাত হচ্ছে; তাই সেদিকে ভ্যাপসা গরমের মাত্রা কম। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে গরমের অনুভূতি তীব্র। এ অবস্থা আরও অন্তত দুই থেকে তিনদিন থাকবে বলে আমরা মনে করছি।’ মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যানুযায়ী খুলনা,বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়,ঢাকা,ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহীর দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা,ময়মনসিংহ, খুলনা,বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। এদিকে সারাদেশের ন্যায় সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। হাসপাতাল গুলোতে জ্বর,ডায়েরিয়া সহ পেটের নানা সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন অধিকাংশরাই,এর মধ্যে ভাইরাস জনিত জ্বরের রোগীই বেশি।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,ঢাকা, পাবনা,টাঙ্গাইল,ফরিদপুর,মাদারীপুর,যশোর, কুষ্টিয়া,খুলনা,বরিশাল,পটুয়াখালী,নোয়াখালী, কুমিল্লা,চট্টগ্রাম,কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ সময় রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে,তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার(১২ জুলাই) সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,আগেরবদিন সোমবার ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর এদিকে রোববার (১০ জুলাই) রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।