স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট আখালিয়ার নতুন বাজারের খলাপাড়ার বাসিন্দা ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি,নাট্যকর্মী, চাকরিজীবী সপ্তর্ষি দাস নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০৪ আগষ্ট) রাত ০৯:০০ টার পর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজের ব্যাপারে সপ্তর্ষি'র সহকর্মী শামসুল ইসলাম শুক্রবার(০৫ আগষ্ট) রাত দুইটার দিকে সিলেটে এয়ারপোর্ট থানায় জিডি করেন। শামসুল ইসলাম বলেন,' সপ্তর্ষি'র গতকাল বৃহস্পতিবার (০৪ আগষ্ট) রাত নয়টার পর থেকে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে সুস্থ, স্বাভাবিক ও দায়িত্বশীল একজন মানুষ,কখনো কাজের অবহেলা করেনি। আশাকরি মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় ও সবার দোয়ায় সপ্তর্ষিকে আমরা ফিরে পাবো '। পরিবার ও ছাত্র সংগঠন সূত্রে জানা যায়,সপ্তর্ষী দাস দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ব্যাংকিং পেশায় জড়িত। প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি পেশাগত কাজে বের হন। ওইদিন রাত ৯:০০ টার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছে না। এর আগে এমনটা কখনও হয়নি,তাই সকলেই আতংকিত।
সপ্তর্ষির পরিবারের সদস্যরা জানান,রাত ৯ টার দিকে তিনি তার সাথে থাকা অফিসের টাকা জমা দেওয়ার জন্য আম্বরখানা এলাকার একটি বুথে যাচ্ছেন বলে সর্বশেষ কথা হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ দেখাচ্ছে। সকল আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ করেও তার খোঁজ না পাওয়ায়,রাত দুইটার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় জিডি (জিডি নম্বর-২৪৪) করা হয়।
এদিকে নিখোঁজের সময় সপ্তর্ষী দাসের পরনে ছিল জিন্স প্যান্ট ও নীল সাদা চেক শার্ট। তার কোনো সন্ধান পাওয়া গেলে ০১৭১০-২৩৮ ৩৯৩ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (০৫ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খান মো: মাইনুল জাকির বলেন,' থানায় এ বিষয়ে জিডি হয়েছে। আমরা বরাবরের মতো নিখোঁজ ব্যক্তিতে খোঁজার কাজ করে যাচ্ছি '।
ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক বলেন,' মামলার প্রায় ১২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও গেলেও এখনো তার কোনো খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে তাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি '।