সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় এর প্রভাবে সাতক্ষীরায় আজও সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের বিড়ালক্ষী ও বুড়িগোলিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী বেঁড়িবাধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। আতংকে রয়েছে উপকুল বাসী। উপকুলীয় এলাকার ৩৫ টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ কিলোমিটার জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে পানিতে ভেসে গেছে উপকুলীয় এলাকার শত শত বিঘা মৎস্য ঘের। পানিতে নিমজ্জিত জেলার নিন্মাঞ্চল।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিনত হয়েছে। এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২-১ দিন আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকবে। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি আরো জানান,গত ২৪ ঘন্টায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) আবুল খায়ের জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তুটি বিভাগের আওতায় মোট ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাধে মধ্যে ৩৫ টি পয়েন্টে উপকূল রক্ষা বেঁড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার অনেক জায়গায় চলমান রয়েছে।