দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ঘরে ঘরে বাড়ছে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এ উপজেলার তিন থেকে চার হাজার বাসিন্দা।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে। তাছাড়া,উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হতেও ছুটছেন আক্রান্তরা।
এদিকে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ঔষধের দোকানে চোখের ড্রপের চাহিদা বেড়েছে। আলাপকালে উপজেলার বগুলা, লক্ষীপুর, সুরমা, বাংলাবাজার, নরসিংপুর, দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও, মান্নারগাওঁ, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের বিভিন্নন বাজারের ফার্মেসী মালিকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ফার্মেসিতে প্রচুর চোখ ওঠা রোগী ভিড় করছেন। আক্রান্তের অধিকাংশই ড্রপ নিতে আসছেন। জটিল কোনো রোগী দেখলে ও কোনো শিশু আক্রান্ত হলে তাদেরকে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন তারা।জানা যায়, এই রোগটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। তাই দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়ায়।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, গরমে, বর্ষায় ও ঋতু পরিবর্তনের সময় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বাড়ে। কনজাঙ্কটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়। পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়ে।