মাটির ঘর
কলমে কবি মুকলেছ উদ্দিন
মাটির ফাউন্ডেশন মাটির ঘর
মনে পড়ে সেই অতীতের খবর
সেদিন ছিল মাটির ঘরে পাটকাঠির বেড়া
ছিল খড়ের চাউনি বাশে্র কুড়ু বগড়া।
পাল্লা ও ছিল বাসের ছিল বাসের ধন্না
ছিল রুশোই ঘর তাতে করিত রান্না।
ছিল গোয়াল ঘর বাংলা সবই খরের ছাউনি
বৃষ্টি এলে অনেকের ঘরে টপটপে পরিত পানি।
তখন ধনী গরিবের বাড়ি ঘরের পরিচয় ছিল না
সবারই বাড়িঘর ছিল একই ধরনের একই নমুনা।
সেই সমাজে কোন হিংসা-বিদ্বেষ ছিল না
সকলেই সকলের তরে ছিল সমমনা।
একে অপরের খবর নিত তারা সারাক্ষণ
ছিল সকলের তরে যেন সকলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
একে অপরের দুঃখে হইতো কাতর
কি যে মায়া মমতায় ভরা ছিল তাদের অন্তর।
সেই খাচা ভিটেতে ছিল কোমল হৃদয় মন।
সেদিনের কথা মনে হলে কাঁদে দু নয়ন।
আজ এই ইট বালির পাথরের দালান
মানুষের মনও যেন সীমারের চাইতে পাষান।
নাই কোন দয়া মায়া নাই কোন আদর
স্বার্থের টানে সকলেই যেন হয়ে গেছে পর।
মনে পড়ে কি ধনী গরিব যত শিল্পপতি
মাটির ঘরেই হবে যে সবার চিরবসতি।
অতীতের মাটির ফাউন্ডেশন মাটির ঘর
তা থেকে সৃষ্টি কবি সাহিত্যিকের অন্তর।
আজও সেই মহা মনীষীদের রজ্জু ধরে
পথ চলেছে কবি লেখক বাউল গানের সুরে
আদিতের মাটি মাটিতেই হইত বিছানা পাটি
তাই বলেছে কবি মাটি সোনার চাইতেও কাটি।
সেটি মাটির ফাউন্ডেশন ঘর গড়া ছিল যাদের
তারাই আমাদের পথপ্রদর্শক ধন্য জীবন তাদের।